E-Paper

বিএস-৪-এর চেয়ে পুরনো ইঞ্জিনে নিষেধাজ্ঞা দিল্লিতে

শুনানির সময়ে কেন্দ্রীয় দূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা (সিএকিউএম)-এর তরফে জানানো হয়, বিএস-৩ শ্রেণির চেয়ে পুরনো ইঞ্জিনের ফলে বিপুল হারে দূষণ বাড়ছে। সেই গাড়িগুলিকে ছাড় দেওয়ার অর্থ হয় না।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৬
সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লিতে দশ বছরের পুরনো ডিজ়েল ও ১৫ বছরের পুরনো পেট্রল গাড়ি চালানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা সামান্য বদলাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিএস-৪ শ্রেণির ইঞ্জিনের গাড়ি চালানো যাবে রাজধানীতে। অন্য দিকে রাজধানীতে ঢোকার পথে ৯টি টোল বুথ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে আদালত। এই টোল বুথগুলিতে গাড়ির লম্বা লাইনের ফলে দূষণ আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মামলাকারীরা।

শুনানির সময়ে কেন্দ্রীয় দূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা (সিএকিউএম)-এর তরফে জানানো হয়, বিএস-৩ শ্রেণির চেয়ে পুরনো ইঞ্জিনের ফলে বিপুল হারে দূষণ বাড়ছে। সেই গাড়িগুলিকে ছাড় দেওয়ার অর্থ হয় না।

সিএকিউএমের নিরীক্ষা অনুযায়ী, দিল্লিতে যত গাড়ি চলে সেগুলির মধ্যে ৯৩ শতাংশ ছোট চার চাকার ও দু’চাকার গাড়ি। সেগুলির মধ্যে প্রায় ৩৭ শতাংশ বিএস-৩ বা তার চেয়ে পুরনো ইঞ্জিনের। সেগুলি থেকে অনেক বেশি দূষণকারী কণা, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হয়।

অন্য দিকে দিল্লিতে ঢোকার পথে ৯টি টোল প্লাজ়া নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও দিল্লি পুরসভার উদ্দেশে কড়া মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষত দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানার টোল প্লাজ়াগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শুনানির সময়ে। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বক্তব্য, ‘‘আমরা টোলের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টোল সংগ্রহ না করে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। আগামিকাল কি টাকার জন্য কনট প্লেসে টোল প্লাজ়া খুলবেন?’’ দিল্লি পুরসভার উদ্দেশে কোর্টের বক্তব্য, টোল থেকে আসা আয়ের কতটা সত্যিই সড়ক ও সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোর উন্নয়নে খরচ করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবে বেঞ্চ।

মামলাকারীরা জানিয়েছেন, দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানায় টোল প্লাজ়াগুলিতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা দেয়। ফলে এক দিকে বাড়ছে যানজট। অন্য দিকে বায়ু দূষণ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বাসিন্দারা ট্রাফিকের ভয়ে উৎসব এড়িয়ে যাচ্ছেন। কারণ, টোল প্লাজ়ায় গাড়ি আটকে থাকে।’’

দিল্লি পুরসভার হাতে থাকা ৯টি টোল প্লাজ়াকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা এলাকায় সরানো যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেছে কোর্ট। বেঞ্চ জানিয়েছে, বিকল্প টোল প্লাজ়াগুলিতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ টোল সংগ্রহ করতে পারে। তার একাংশ দিল্লি পুরসভার টোল বাবদে আয়ের সাময়িক ক্ষতিপূরণের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অন্য দিকে সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ৫০ শতাংশ কর্মীর বাড়ি থেকে কাজ করা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। বায়ু দূষণ রোধে জিআরএপি ৩ ও জিআরএপি ৪ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান) মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। দিল্লির শ্রমমন্ত্রী কপিল মিশ্র বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ কর্মীর বাড়ি থেকে কাজ করা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও সংস্থা এই বিধি ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Supreme Court of India BS4 Delhi Pollution

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy