মানহানি-কে ‘অপরাধমুক্ত’ করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে আজ মতপ্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একটি খবরের ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে করা অপরাধমূলক মানহানির মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এই মন্তব্য করেছেন।
মানহানির মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আজকের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যের। কারণ, ২০১৬-য় একটি মামলায় শীর্ষ আদালত অপরাধমূলক মানহানির আইনের সাংবিধানিক বৈধতা স্বীকার করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তখন বলেছিল, সম্মানেরঅধিকারের বিষয়টি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১-এর অন্তর্গত জীবনযাপন ও মর্যাদারক্ষার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আজ অবশ্য এর সম্পূর্ণ বিপরীত মতপ্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। ২০১৬-র রায় অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারাকে স্বীকার করেছিল। পরে যা ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ৩৫৬ ধারায়জায়গা পেয়েছে।
একটি সংবাদ পোর্টালের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) অধ্যাপক অমিতা সিংহের করা অপরাধমূলক মানহানির মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত আজ তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। ওই মামলায় ওয়েবসাইটটির কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট, পরে দিল্লি হাই কোর্টও একই মত পোষণ করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে ওয়েবসাইটটি। এ ব্যাপারে শীর্ষ কোর্ট নোটিসও জারি করেছে। ২০১৬ সালে ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত একটি খবরে জেএনইউ সম্পর্কিত ২০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরিতে সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। ‘জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়: বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আখড়়া’ নামাঙ্কিত সেই রিপোর্টে জেএনইউকে ‘সংগঠিত যৌন চক্রের আখড়়া’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
আজ মামলার শুনানির সময় মানহানিকে অপরাধমুক্ত করা প্রসঙ্গে বিচারপতি সুন্দরেশের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন ওয়েবসাইটটির আইনজীবী কপিল সিব্বল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)