পাকিস্তানের জেলে বন্দি মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনকে নির্দেশ দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আফগানিস্তানে কর্মরত থাকাকালীন পাক সেনার হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের উপর পেশওয়ারের কারাগারে তিন বার হামলা হয়েছে। জখম অবস্থায় জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। বিদেশমন্ত্রীর নির্দেশ, ওই ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ‘কনসুলার অ্যাকসেস’-এর দাবি জানাক পাকিস্তানের ভারতীয় হাইকমিশন।
হামিদ নেহাল আনসারি নামে বছর একত্রিশের ওই যুবক মুম্বইয়ের বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হামিদ কর্মসূত্রে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন। ২০১২ সালে অবৈধ ভাবে পাকিস্তানে প্রবেশের অভিযোগে পাক সেনা হামিদ নেহাল আনসারিকে গ্রেফতার করে। ফেসবুকে বন্ধুত্ব হওয়া এক পাক তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে হামিদ নেহাল আনসারি পাকিস্তানে ঢুকেছিলেন বলে জানা যায়। ভুয়ো পাক পরিচয়পত্র রাখার অপরাধে পাকিস্তানের একটি সেনা আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই থেকে হামিদ পেশওয়ারের জেলে বন্দি। দু’মাস আগে থেকে তাঁর উপর হঠাৎ হামলা হওয়া শুরু হয়েছে। গত দু’মাসে পেশওয়ার জেলের বন্দিদের হাতে তিন বার আক্রান্ত হয়েছেন মুম্বইয়ের ওই যুবক। মারাত্মক জখম অবস্থায় জেল হাসপাতালে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গিয়েছে।
হামিদ নেহাল আনসারির উপর সাম্প্রতিকতম তথা তৃতীয় হামলাটি হওয়ার পর, বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি টুইটারে জানিয়েছেন, ‘‘পেশওয়ার জেলে ২০১২ সাল থেকে বন্দি হামিদ আনসারির উপর বার বার হামলার খবর শুনে আমি খুব উদ্বিগ্ন। এটা অমানবিক। পাকিস্তানে নিযুক্ত আমাদের হাইকমিশনারকে আমি নির্দেশ দিয়েছি, হাসপাতালে/জেলে গিয়ে হামিদ আনসারির সঙ্গে দেখা করার জন্য পাক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কনসুলার অ্যাকসেস চাওয়া হোক।’’
আরও পড়ুন: ‘জনগণমন’ গাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি ইলাহাবাদের স্কুলে
হামিদ নেহাল আনসারি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছেন, তা দেখার জন্যই কনসুলার অ্যাকসেস চাইতে বলেছেন বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু পাকিস্তান হামিদের কনসুলার অ্যাকসেসের অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। হামিদের কৌঁসুলি কাজি মহম্মদ আনোয়ার পেশওয়ার হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, হামিদকে পেশওয়ার জেলে একটি ডেথ সেলে রাখা হয়েছে। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির সঙ্গে তাঁকে থাকতে হচ্ছে। শুধু বন্দিরা তাঁর উপর হামলা চালাচ্ছে তাই নয়। হেড ওয়ার্ডেনও রোজ অকারণে হামিদকে মারধর করেন বলে হামিদের কৌঁসুলির অভিযোগ।