Advertisement
E-Paper

খরা কেটে চিল্লাই কালানের প্রথম দিনেই বরফে ঢাকল ভূস্বর্গ, মরসুমের প্রথম তুষারপাতে স্বস্তি কাশ্মীরে

কাশ্মীরে টানা ৪০ দিনের প্রবল শীত-পর্বকে বলে চিল্লাই কালান। ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই পর্ব। সে সময় সারা বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে কাশ্মীরে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:১৪
রবিবার সকালে বরফে ঢেকেছে কাশ্মীরের গুলমার্গ।

রবিবার সকালে বরফে ঢেকেছে কাশ্মীরের গুলমার্গ। ছবি: পিটিআই।

অবশেষে কাটল খরা। রবিবার মরসুমের প্রথম তুষারপাত হল কাশ্মীরে। মৌসম ভবন পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেই পূর্বাভাস মতো গুরেজ়, ওয়ারওয়ান উপত্যকা, সিন্থান টপ, সোনমার্গ, রাজ়দান পাসে বরফ পড়েছে। নতুন করে তুষারপাত হয়েছে কার্গিল এবং দ্রাসের কিছু অংশে। সমতলে ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলছে। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরও নামবে। তা হলে বরফ পড়বে সমতলেও। বরফ দেখে স্বস্তিতে কাশ্মীরের বাসিন্দারা। পর্যটক হারানোর এবং জলসঙ্কটের যে শঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই দূর হয়েছে।

গত দু’মাস ধরে কাশ্মীরে তেমন ভাবে বরফ পড়েনি, বৃষ্টিও হয়নি। কখনও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও তা যথেষ্ট ছিল না। বাসিন্দাদের আশঙ্কা ছিল, এ ভাবে চললে জলসঙ্কটের মুখে পড়তে হবে তাঁদের। কিছু এলাকায় সমস্যা দেখা দিতে শুরুও করেছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, বরফ না পড়লে কাশ্মীর পর্যটক হারাবে। তার প্রভাব পড়বে তাদের অর্থনীতিতে। এই আবহে মৌসম ভবন রবি এবং সোমবার সেখানে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। রবিবার ভোরে, চিল্লাই কালানের প্রথম দিন বরফে ঢেকে গেল কাশ্মীরে বিস্তীর্ণ এলাকা। কাশ্মীরে টানা ৪০ দিনের প্রবল শীত-পর্বকে বলে চিল্লাই কালান। ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই পর্ব। সে সময় সারা বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে কাশ্মীরে।

মৌসম ভবন পূর্বাভাস দেওয়ার পরে শীতের মোকাবিলায় শনিবারই প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর। জম্মু ও কাশ্মীরে আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন তিনি। পানীয় জল এবং বিদ্যুতের যাতে সঙ্কট না দেখা দেয়, সে দিকে নজর দিতে বলেছিলেন। ওমরের আশা, বরফ পড়লে দূষণ কমবে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে কাশ্মীরেও। সেখানে হিমবাহ দ্রুত গলছে। এ ভাবে চললে জলসঙ্কট দেখা দেবে ভূস্বর্গে। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, মুখ থুবড়ে পড়বে অর্থনীতি, যা অনেকটাই নির্ভর পর্যটনের উপরে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy