হার্ট অ্যাটাক মানেই বড়সড় ব্লকেজেই তার কারণ, এ ধারণা সম্পূর্ণ রূপে সত্য নয়। আমেরিকাবাসী হার্টের চিকিৎসক ডিমিট্রি ইয়ারনভ বলছেন, ছোটখাটো, লুকোনো প্লাক কখনও সখনও হৃদ্রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
হার্ট প্রতিস্থাপনের চিকিৎসক ডিমিট্রি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখছেন, ‘‘বেশির ভাগ হার্ট অ্যাটাকই বড়্সড় ব্লকেজের কারণে হয় না। ছোট, নরম, স্ফীত প্লাকের কারণে হতে পারে। আর স্ট্রেস টেস্টে কখনওই সে সব প্লাক ধরাও পড়ে না।’’ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘ভালনারেবল প্লাক’ বলা হয়। নরম প্লাক মূলত চর্বি এবং প্রদাহজনক কোষ দিয়ে গঠিত, যার উপরে খুব পাতলা একটি আস্তরণ থাকে। এই পাতলা আস্তরণটি দুর্বল হওয়ায় যে কোনও সময় ফেটেও যেতে পারে। ধমনীতে রক্ত চলাচলের পথ অনেকখানি খোলা থাকা সত্ত্বেও এই ছোট প্লাকগুলি ফেটে গিয়ে বিপদ ডেকে আনে। সাধারণ অনেক পরীক্ষায় এই নরম প্লাকগুলি ধরা পড়ে না। তার মূল কারণ হল, এগুলি ধমনীকে খুব বেশি সঙ্কুচিত করে না। ফলে কোনও পূর্বলক্ষণ ছাড়াই এক জন সুস্থ মানুষেরও হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আর সেই ঝুঁকির কথাই মনে করালেন ডিমিট্রি।
লুকোনো প্লাক কখনও সখনও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
সে ক্ষেত্রে কী ভাবে শনাক্ত করা যেতে পারে এই রোগ?
যাঁদের হার্টের সমস্যার উপসর্গ দেখা দিয়েছে, যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল রয়েছে, অথববা যাঁদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের সিটি করোনারি অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। ইসিজি, স্ট্রেস টেস্ট বা ট্রেডমিল পরীক্ষা যেখানে কার্যকর নয়, সেখানে এই পরীক্ষা ধমনীর পথের স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে। ধমনীতে ব্লকেজ পরীক্ষার পাশাপাশি প্লাকটি নরম না শক্ত, সেটিও বোঝা যায় এই পরীক্ষায়।
আরও পড়ুন:
কলকাতায় সিটি করোনারি অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানোর জন্য বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যেখানে এই পরীক্ষাটি করা হয়।