দু’মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তরুণ-তরণীর। বিয়ের পর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ট্রেনে চাপার কিছু ক্ষণ পরেই ঝগড়া শুরু হয় তাঁদের মধ্যে। নতুন বৌয়ের রাগ ভাঙানোর জন্য তাঁকে কোলে বসিয়ে জড়িয়ে ধরেন তরুণ। তবুও রাগ ভাঙে না তরুণীর। স্ত্রীর রাগ ভাঙানোর জন্য যারপরনাই চেষ্টা করতে থাকেন তরুণ। এর পরেই চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় নবদম্পতির। মৃত্যুর আগের মুহূর্তের এই ভিডিয়োটি এক যাত্রী তাঁর ফোনে তুলে রেখেছিলেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘তেলুগু স্ক্রাইব’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, ট্রেনের ভিতর এক তরুণ তাঁর স্ত্রীর রাগ ভাঙানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বামীর প্রতি রেগে গিয়ে চিৎকার করছেন তরুণী। কোলে বসিয়ে জড়িয়ে ধরে তরুণীকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন সেই তরুণ। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ভিডিয়োটি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণের নাম কোরাদা সিংহচলম (২৫)। তাঁর স্ত্রীর নাম ভবানী (১৯)। হায়দরাবাদের এক রাসায়নিক প্রস্ততকারী সংস্থায় কাজ করতেন কোরাদা। সেখানেই ভবানীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। দু’মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। বিয়ের পর বিজয়ওয়াড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন কোরাদা এবং ভবানী।
সেকেনদরাবাদ থেকে মছিলিপত্তনম এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন নবদম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রেনটি ভাঙ্গাপল্লী স্টেশন পেরোনোর পর কামরার দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। এই সময়েই চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। শুক্রবার সকালে রেললাইন থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন এই ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ায় তদন্তে অন্য দিক খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। পা পিছলে তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, না কি তাঁরা ট্রেন থেকে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।