ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভায় তিনি বাঙালির প্রতিনিধিত্ব করবেন। কিন্তু উগ্র জাতীয়তাবাদী মানসিকতা নিয়ে নয়। উত্তর-পূর্বের কথা বলবেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর মতো হিমন্ত বিশ্বশর্মার চোখ দিয়ে উত্তর-পূর্বকে দেখবেন না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে আজ শিলচরে ফিরে এ কথাই বললেন সুস্মিতা দেব। জানালেন, “মায়ের আশীর্বাদ নিতে বাড়ি এসেছি। এখানকার কর্মীদের সঙ্গেও একটু কথা বলতে চাই।”
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘বাঙালির কথা এ ভাবে আর কেউ ভাবছেন না। বিশেষত উত্তর-পূর্বের বাঙালির কথা।’’ সুস্মিতার মতে, তাঁকে সাংসদ করে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতা উত্তর-পূর্বের প্রতিটি বাঙালিকে সম্মানিত করেছেন। সুস্মিতার বক্তব্য “তা বলে উগ্র বাঙালিয়ানা চলবে না। দিদি জানিয়ে দিয়েছেন, সকলের কথা বলতে হবে, সকলের কথা ভাবতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসে উগ্র বাঙালিয়ানার কোনও জায়গা নেই।’’
সুস্মিতার মতে, উত্তর-পূর্বের প্রধান সমস্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলকে বোঝেনই না। তিনি অঞ্চলটিকে দেখেন হিমন্তবিশ্ব শর্মার চোখে। ফলে প্রতিটি রাজ্য সমস্যায় ভুগছে। সুস্মিতার কথায়, ‘‘এটা রাজনীতির সঙ্কট, পরম্পরার সঙ্কট, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বের সঙ্কট। অসমেও এই সংকট তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ, অসমের বাসিন্দা, ত্রিপুরার দলীয় নেত্রী, কী ভাবে মেলাবেন সব বিষয়গুলিকে? সুস্মিতা জানিয়ে দেন, "আমাকে পশ্চিমবঙ্গের কথা ভাবতে হবে, উত্তর-পূর্বের কথা ভাবতে হবে, দিদি তো আছেনই পাশে৷"অসম প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র পবিত্র মার্ঘারিটা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সুস্মিতা দেবের বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি শাসিত প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপির নেতারা নিজের রাজ্যকে খুব ভালো চেনেন, জানেন৷ তাঁরাই নিয়মিত কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় বিষয় জানান৷’’ পবিত্রের দাবি, নরেন্দ্র মোদীর দক্ষতা বা একাগ্রতা নিয়ে প্রশ্ন নেই৷ তিনি সুস্মিতাকে এখন উত্তর-পূর্ব বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মনোযোগ দিতে বলেন৷ পাশাপাশি পরামর্শ দেন, মোদী বা বিজেপির সমালোচনা ছেড়ে ২০২৩-এ রাজ্যসভার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে কোন দলে যোগ দেবেন, কোন রাজ্যে যাবেন, সেই পরিকল্পনা তৈরিতেই যেন সুস্মিতা সময় দেন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy