শ্বেতা ঝা। তাঁর বিরুদ্ধে ‘গ্যাংস্টার’ হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্বামী চন্দন ঝা। ছবি: সংগৃহীত।
২০২১ সালে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জিতেছেন। লড়েছেন মেয়ের নির্বাচনেও। সেই ‘বিউটি কুইন’ই নাকি এখন ‘গ্যাংস্টার’ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এমন দাবি করছেন খোদ তাঁর স্বামীই।
শ্বেতা ঝা। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জেতার পর রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। বিহারের পটনা থেকে মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। নিজেকে বিজেপি নেত্রী বলেও দাবি করেন শ্বেতা। তাঁরই স্বামী চন্দনকুমার ঝা সম্প্রতি শ্বেতার বিরুদ্ধে ‘গ্যাংস্টার’ হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। বেশ কিছু দিন আগে একে-৪৭ এবং ইনসাস রাইফেল হাতে শ্বেতার ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তদন্তে জানা যায় যে, শ্বেতা যে ছবি তুলেছিলেন সেগুলি একটি সরকারি অতিথি নিবাসের।
চন্দনের অভিযোগ, তাঁকে ছেড়ে বয়ফ্রেন্ড অভিষেকের সঙ্গে থাকেন শ্বেতা। তাঁকে খুন করারও হুমকি দিচ্ছেন অভিষেক। ১৫ বছর আগে চন্দনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্বেতার। মাসখানেক আগে শ্বেতা নিয়ে বেশ চর্চা চলছিল। সরকারি জিপসি, হাতে পিস্তল নিয়ে রিল বানিয়েছিলেন তিনি। এর পরই এই ঘটনায় মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইকনমিক ওরিয়েন্টেড ইউনিট (ইওইউ) শ্বেতাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
শ্বেতার পরিবার পটনার ভাগবতনগর এলাকায় থাকে। চন্দনের দাবি, মেয়র নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ‘গ্যাংস্টার’ হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন শ্বেতা। সেই পথে এক ধাপ এগিয়েও গিয়েছেন বলে দাবি চন্দনের। পেশায় এক জন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চন্দন। তাঁর দাবি, পারিবারিক জীবন ভালই চলছিল। তাঁদের ১৩ বছরের একটি কন্যাও রয়েছে। আট মাস আগে পুরনিগমের ঠিকাদার অভিষেকের সঙ্গে আলাপ হয় শ্বেতার। তার পর থেকেই অভিষেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে তাঁর। যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অরবিন্দ সিংহ দাবি করেছেন, শ্বেতা নামে কাউকে চেনে না দল। বিজেপি কোনও মহিলা সংগঠনেও নেই তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy