কারনালে সরকারি দফতর ঘেরাও কৃষকদের। নিজস্ব চিত্র।
কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে উত্তর ভারতের কোণে কোণে। সোমবার মুজফফরনগরের মহাপঞ্চায়েতের পর মঙ্গলবার হরিয়ানার কারনালে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা। কিন্তু বৈঠক বিফল হয়। এর পরই একের পর এক বেষ্টনি ভেঙে এগোতে থাকেন হাজার হাজার কৃষক। ছোট সচিবালয়ের দিকে যাওয়া কৃষকদের আটকাতে নেতাদের ধরপাকড় করে পুলিশ। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব টুইট করে জানান, চাপে পড়ে কৃষক নেতৃত্বকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। বিশাল সংখ্যায় কৃষকদের আটকাতে হরিয়ানা পুলিশ জলকামান চালায়।
গত ২৮ অগস্ট কারনালের এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের লাঠিতে জখম হন একাধিক কৃষক। আন্দোলনকারী কৃষকদের তৈরি করা সংযুক্ত কিসান মোর্চার দাবি, ঘটনায় দায়ী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২৮ অগস্ট কারনালে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, যেখানে এক পদস্থ সরকারি আধিকারিককে আন্দোলনকারী কৃষকদের মাথা ভাঙার নিদান দিতে দেখা গিয়েছিল। তা নিয়ে বিতর্কও হয়।
হরিয়ানা প্রশাসনের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিলেন কৃষক নেতারা। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি। তার পরই কৃষকরা একের পর এক বেষ্টনি ভেঙে কারনালের ছোট সচিবালয়ের দিকে হাঁটা শুরু করেন। সেই সময় জল কামান চালিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy