এক সপ্তাহ কাটতে পারল না। ফের উত্তরপ্রদেশে সেই জাতীয় সড়কেই এক শিক্ষিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল।
মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ ওই শিক্ষিকা হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি গাড়ি এসে তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে। এর পর গাড়ি থেকে তিন জন নেমে এসে ওই শিক্ষিকার গলায় বন্দুক ধরে তাঁকে গাড়িতে তুলে নেয়। তার পর জাতীয় সড়কের উপরেই একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ধর্ষণ করার সময় দুষ্কৃতীরা মোবাইলে ভিডিও তুলে রাখে। পরে ওই শিক্ষিকাকে হুমকি দেওয়া হয়, বাইরে এ নিয়ে মুখ খুললে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়া হবে। এর পর জাতীয় সড়কের পাশের এক ফাঁকা মাঠে ওই শিক্ষিকার অর্ধচৈতন্য দেহ ফেলে রেখে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে স্থানীয় থানার কর্তব্যরত অফিসার রাজেশ সিংহকে সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে প্রচুর নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার বুলন্দশহরে ৯১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ডাকাতির পাশাপাশি মা ও মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও হইচই কমেনি। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের অস্বস্তি বাড়িয়ে মুখ খুলেছেন ওই ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী। সামাজিক বয়কটে অতিষ্ট হয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘‘তিন মাসের মধ্যে সুবিচার না পেলে সপরিবার আত্মহত্যা করা ছাড়া গতি থাকবে না। ক্ষতিপূরণ নয়, আমরা বিচার চাই।’’ যে দিন তিনি এই কথা বলেছেন, ঠিক সেই দিন সকালে বরেলীতে শিক্ষিকা গণধর্ষণের অভিযোগ সরকারকে বেশ চাপেই ফেলেছে।
আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন
আত্মহত্যার হুমকিতে জটিল ধর্ষণ তদন্ত
এমনিতেই বুন্দলশহরের ধর্ষণের ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপড়েন রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান গতকালই মন্তব্য করেছেন, ‘‘বিরোধীরা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। ভোট পেতে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে মানুষ খুন করা হয়েছে। এতো কেবল ধর্ষণের ঘটনা। পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে।’’ তাঁর মন্তব্য নিয়েই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পরে যদিও মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে আজম খান দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy