Advertisement
E-Paper

ক্লাসে ছাত্রকে মার, চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে ঠুকলেন মাথা! গুজরাতে শিক্ষককে আটক করল পুলিশ

গুজরাতের ভাতভায় মাধব পাবলিক স্কুলে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অভিষেক ওই ছাত্রের হাত মুচড়ে ধরেছেন। চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে ঠুকে দিচ্ছেন কিশোরের মাথা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ২০:১৯
(বাঁ দিকে) ক্লাসঘরে ছাত্রকে মারধরের সেই দৃশ্য। অভিযুক্ত শিক্ষক অভিষেক পটেল (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ক্লাসঘরে ছাত্রকে মারধরের সেই দৃশ্য। অভিযুক্ত শিক্ষক অভিষেক পটেল (ডান দিকে)। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

ক্লাসঘরে ছাত্রের গালে একের পর এক চড় কষিয়ে চলেছেন শিক্ষক। ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলেও চলছে মারধর। অন্য পড়ুয়ারা দেখছে সে সব। গুজরাতের স্কুলের এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত শিক্ষক অভিষেক পটেলকে আটক করেছে পুলিশ (আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। তাঁকে আগেই স্কুল থেকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছেন কর্তৃপক্ষ।

গুজরাতের ভাতভায় মাধব পাবলিক স্কুলে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অভিষেক ওই ছাত্রের হাত মুচড়ে ধরেছেন। চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে ঠুকে দিচ্ছেন কিশোরের মাথা। তার পর গালে একের পর এক চড় কষাচ্ছেন। মাটিতে ফেলে কিশোরকে মারধরের ছবিও ধরা পড়েছে। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের অধ্যক্ষকে নোটিস পাঠান জেলা শিক্ষা আধিকারিক। ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। এর পরেই অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাঁকে আটক করে পুলিশ।

২০০০ সালে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানির সময় ছত্তীসগঢ় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, পড়ুয়াদের শৃঙ্খলা শেখানোর জন্য মারধর করা আসলে এক প্রকার নিষ্ঠুরতা। ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা শিশুদের ভাল ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের মারধর করা হলে তা সেই অধিকারকেই লঙ্ঘন করে। শিক্ষার অধিকার (২০১৯) আইনেও স্কুলে বাচ্চাদের মারধর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Gujarat Student School Teacher CC Camera Footage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy