কর্মরত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদেরও টেট পাশ করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশের শিক্ষকেরা দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁদের অভিযোগ, এক দিকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজে তাঁদের বিএলও হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে জনগণনার কাজেও লাগানো হবে। অন্য দিকে তাঁদের পেশাগত সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই ওই রায় পুনর্বিবেচনার একাধিক আর্জি দায়ের হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকেরা আজ সাংসদদেরও হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহন রায় দিয়েছিলেন, যে সব প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকের টেট পাশ শংসাপত্র নেই, শিক্ষার অধিকার আইন মেনে তাঁদের আগামী দু’বছরের মধ্যে টেট পাশ করতে হবে। সেই রায়ের প্রভাব গোটা দেশের ৪০ লক্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গের ৩ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকার উপরে পড়বে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আজ যন্তর মন্তরে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের তরফে ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে এমনিতেই টেট-এর পরীক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে। অন্য রাজ্যের মতো বছরে দু’বার করে টেট হয় না। পাশের হারও খুব কম। এক দিকে বিএলও, জনগণনার দায়িত্ব, অন্য দিকে পেশাগত সঙ্কট। প্রাথমিক শিক্ষকরা জাঁতাকলে পড়েছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)