ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরোধিতা করে ফের বিহারের বিধানসভা নির্বাচন বয়কটের হুঁশিয়ারি দিলেন তেজস্বী যাদব। বুধবারই আরজেডি নেতা বলেছিলেন, বিহারে যে ভাবে ভোট চুরি হচ্ছে, তার পরে ভোট বয়কটের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে। সূত্রের খবর, তিনি ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য নেতাদের এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আজ বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব ফের বলেছেন, ‘‘আমরা বিধানসভা নির্বাচন বয়কটের বিকল্প খোলা রাখছি। যখন সময় আসবে, তখন আমরা জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে যা চলছে, তা প্রতারণা ছাড়াআর কিছু নয়।’’
বিহারে বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এর বাকি শরিকেরা অবশ্য এ বিষয়ে এখনই এত দূর এগিয়ে ভাবতে নারাজ। বিশেষ করে বামপন্থী নেতাদের মতে, ভোটার তালিকায় বিশেষ পরিমার্জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে। আগে তার জন্য অপেক্ষা করা জরুরি। সিপিআই-এমএল লিবারেশন নেতৃত্বের মতে, সুপ্রিম কোর্টে ২৮ জুলাই শুনানি হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু বুথ স্তরের এজেন্টরা কী জানাচ্ছেন, তার জন্য অপেক্ষা করা জরুরি। নির্বাচন কমিশনের উপরেও চাপ তৈরি করতে হবে, যাতে কোনও ভোটারের নাম বাদ না যায়। কংগ্রেসের বিহারের ভারপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ আল্লাবরু অবশ্য বলছেন, ‘‘সব রকম বিকল্প আমাদের সামনে রয়েছে। ইন্ডিয়া জোট এ বিষয়ে আলোচনা করছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে এ নিয়েও ভাবনাচিন্তা হবে।’’ কংগ্রেসের বিহারের নেতারা অবশ্য ভোট বয়কটের পরিকল্পনা নিয়ে উৎসাহী নন।
বিজেপি কটাক্ষ করেছে, আসন্ন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই তেজস্বী যাদব ভোট বয়কটের রাস্তা খুঁজছেন। কারণ তেজস্বী যাদব, রাহুল গান্ধীরা আশা করেছিলেন, ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরোধিতায় বিপুল জনসমর্থন মিলবে। কিন্তু ভোটাররা নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভাবে অংশ নিচ্ছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)