Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Rahul Gandhi

পটনায় তেজস্বীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাহুল, প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্য রাহুলই, পাল্টা তেজস্বীর

কংগ্রেসের কাছে এই সভা ঐতিহাসিক। রাহুলের পাশাপাশি এই জনসভায় হাজির ছিলেন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের নবনির্বাচিত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীরাও।

পটনায় রাহুল গাঁধী ও তেজস্বী যাদব। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

পটনায় রাহুল গাঁধী ও তেজস্বী যাদব। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:০৮
Share: Save:

পটনার ঐতিহাসিক গাঁধী ময়দানে ৩০ বছর পর প্রথম সভা করল কংগ্রেস। আর সেই ‘জন আকাঙ্খা’ সভাতেই জোটবদ্ধ ভাবে দেশ থেকে মোদী সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। একই সঙ্গে পেয়ে গেলেন বিহারে কংগ্রেসের জোট শরিক রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদবের পাশে থাকার বার্তা। শুধু তাই নয়, পটনা থেকেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলের সমর্থনেই গলা মেলালেন তেজস্বী।

সারা দেশে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেওয়া, আর গরীবদের জন্য দেশ জুড়ে ন্যূনতম আয়ের সংস্থান। এই জোড়া প্রতিশ্রুতি দিয়েই বিহারে কংগ্রেসের ভোট প্রচার শুরু করলেন কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অন্তবর্তী বাজেটে কেন্দ্রের ঘোষণা করা নতুন প্রকল্পগুলিকেও। রাহুলের দাবি, কৃষকদের পরিবার পিছু বার্ষিক ৬,০০০ টাকা দিয়ে আসলে দেশের কৃষক সমাজকে অপমান করেছে মোদী সরকার। তিনি বলেন, ‘‘মোদী অম্বানীকে ৩০,০০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। কৃষকদের জন্য পরিবার পিছু বরাদ্দ দৈনিক ১৭ টাকা। যা আসলে সদস্য পিছু সাড়ে তিন টাকা।’’

মোদীকে তোপ দাগার পাশাপাশি বিহারে আরজেডি কাণ্ডারী তেজস্বী যাদবের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘তেজস্বী এক জন উজ্জ্বল তরুণ নেতা, যা বলে, তাই করে, মিথ্যাবাদী নয়। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আমরা মহাজোট তৈরি করেই লড়ব।’’

আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের বাংলোয় সিবিআই অফিসাররা, তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, ঘটনাস্থলে মমতা​

আরও পড়ুন: অমিতের পর যোগীর কপ্টারও নামতে দিল না রাজ্য সরকার​

৩০ বছর আগে গাঁধী ময়দানে শেষ সভা করেছিল কংগ্রেস। বক্তা ছিলেন রাজীব গাঁধী। সেই অর্থে কংগ্রেসের কাছে এই সভা ঐতিহাসিক। রাহুলের পাশাপাশি এই জনসভায় হাজির ছিলেন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের নবনির্বাচিত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীরাও। ছিলেন শরদ যাদব, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেনরাম মাঝিও। বিহারের সবক’টি বিরোধী দলকেই এই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তেজস্বী আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস শিবিরে। যদিও শেষ পর্যন্ত তেজস্বী এই সভায় আসেন এবং জানিয়ে দেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমস্ত যোগ্যতা রাহুল গাঁধীর আছে। একই সঙ্গে অবশ্য কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি। জোটের নেতৃত্ব দিতে হলে কংগ্রেসকে সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলা শিখতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তেজস্বী।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE