Advertisement
E-Paper

মাটিরই নেতা লালু, মত তেজস্বীর

মাটিতে কেন ঠাঁই হল লালুপ্রসাদের— সেই প্রশ্নে তোলপাড় বিহারের রাজনীতি। ক্ষোভে ফুটছে আরজেডি।

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৬

মাটিতে কেন ঠাঁই হল লালুপ্রসাদের— সেই প্রশ্নে তোলপাড় বিহারের রাজনীতি। ক্ষোভে ফুটছে আরজেডি।

পটনায় গত কাল গুরু গোবিন্দ সিংহের জন্মজয়ন্তী পালনের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পাশে চেয়ার পাননি লালু। মাটিতে বসতে হয় তাঁকে।

প্রকাশ্যে এ নিয়ে সরাসরি কারও বিরুদ্ধে তোপ না দাগলেও, ঘনিষ্ঠ মহলে সরব শাসক জোটের শরিক আরজেডি নেতারা। আজ লালু-তনয় তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীপ্রসাদ যাদব বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদ সাধারণ মানুষের নেতা। মাটিতে বসতে তাঁর কোনও সমস্যা হয় না। তা ছাড়া গুরুর দরবারে সবাইকে তো মাটিতেই বসতে হয়। এটাই প্রথা।’’ আরজেডি সহ-সভাপতি রঘুবংশপ্রসাদ সিংহের মন্তব্য, ‘‘লালুজিকে মাটিতে বসানোয় বিহারের মানুষ আহত হয়েছেন।’’

ঘটনা পরম্পরায় কিছুটা হলেও ‘ব্যাকফুটে’ জেডিইউ। এ দিন পটনার গাঁধী ময়দানে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু লালু-প্রসঙ্গে কোনও কথাই তিনি বলেননি। তবে জেডিইউ মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদ মহাজোটের নেতা। তিনি কোনও নালিশ জানাননি। তাই আমাদের কিছু বলার নেই।’’

প্রদেশ কংগ্রেস অবশ্য এ সবের জন্য আঙুল তুলেছে প্রধানমন্ত্রীর দিকেই। দলের রাজ্য সভাপতি তথা বিহারের শিক্ষামন্ত্রী অশোক চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। তাই জবাব দিতে হবে নরেন্দ্র মোদীকেই।’’

প্রশাসনিক সূত্রে গত কাল এমনই ইঙ্গিত মিলেছিল। জানা যায়, লালুপ্রসাদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তায় ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল বিহারের পর্যটন বিভাগ। ওই দফতর রয়েছে আরজেডির হাতে। তাই বিভাগীয় মন্ত্রী শিবচন্দ্র রামের নামের বদলে মঞ্চে আরজেডি শীর্ষনেতা লালুপ্রসাদের জন্য আসন রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিহারের প্রতিনিধি রামবিলাস পাসোয়ান ও রবিশঙ্কর প্রসাদ এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আপত্তি জানান। তারপরই নয়াদিল্লি থেকে আয়োজকদের জানানো হয়, লালুপ্রসাদের বদলে মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বসার জায়গা দিতে হবে।

গত কাল সকালে দুই ছেলেকে নিয়ে গাঁধী ময়দানে হাজির হন লালু। কিন্তু তাঁকে মঞ্চে না বসিয়ে মাটিতে সামনের সারিতে সুশীল মোদী-নন্দকিশোর যাদবের পাশে বসিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর পাশে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ। রাজ্য সরকারের শরিক হলেও, মঞ্চে উঠতে পারেননি আরজেডি-র কোনও প্রতিনিধিই।

Tejashwi Yadav Laloo
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy