কে চন্দ্রশেখর রাও।
জোর জল্পনা ছিল, আজই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটের পথে হাঁটবেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মন্ত্রিসভার সেই বৈঠক হলেও, চার বছরের মাথায় সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল না।
তবে ভোটের আগে মানুষের মন জয়ে যা যা করা হয়, তা-ই করল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র সরকার। পুরোহিতদের রাজ্য সরকারি কর্মীদের সমান বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। আজ তাঁদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬৫ করা হল। বাড়ি বাড়ি গোপালনের প্রকল্পে যাঁরা কাজ করেন সেই ‘গোপাল মিত্র’-দের বেতন সাড়ে তিন হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে সাড়ে আট হাজার টাকা। বেতন বাড়বে স্বাস্থ্যকর্মী, চুক্তিতে নিযুক্ত চিকিৎসকদের।
তবে কি এখনই ভোটের পথে যাচ্ছে না টিআরএস সরকার? প্রশ্ন করা হয়েছিল উপমুখ্যমন্ত্রী কে শ্রীহরিকে। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভার আর একটি বৈঠক হবে। সেখানে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ অকাল ভোটের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে চন্দ্রশেখর নিজেও বলেছেন, ‘‘কিছু টিভি চ্যানেল বলছে, আমি নাকি সরকার ভেঙে দেব। যখন সেই সিদ্ধান্ত নেব, আপনাদের তা জানিয়ে দেব। টিআরএসের সব সদস্য আমাকে তেলঙ্গানার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছেন।’’
তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের চার বছর পূর্ণ হল এ দিন। সরকারেরও। হায়দরাবাদের অদূরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিল টিআরএস। দাবি করা হচ্ছিল, ২০ লক্ষ মানুষ আসবেন। বাস্তবে ৩-৪ লক্ষ এসেছিলেন বলে প্রাথমিক হিসেব। প্রবল বৃষ্টিতে সভা শুরুও হয় বেশ দেরিতে। চন্দ্রশেখর সমাবেশে আহ্বান জানান, দিল্লির দলগুলিকে পরাস্ত করতে তামিলনাড়ুর মতোই তেলঙ্গানাবাসীকে একজোট হতে হবে।
কংগ্রেসের সন্দেহ, বিজেপির সঙ্গে গড়াপেটা করে আগেভাগে ভোটের হাওয়া তুলছে টিআরএস। কারণ, গত চার বছরে চন্দ্রশেখরের সরকার ও দলের জনসমর্থনে টান ধরেছে। আর তেলঙ্গানায় ধীরে ধীরে জমি শক্ত করছে কংগ্রেস। তাদের ঠেকাতেই আগাম ভোটে যেতে চায় টিআরএস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy