উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি হিসেবে হরিয়ানার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়কে চাইলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। কংগ্রেস নেতা রেবন্ত বুধবার বলেন, ‘‘কেন্দ্রে দক্ষিণ ভারতের আরও প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন। দত্তাত্রেয়কে উপরাষ্ট্রপতি করলে কেন্দ্রীয় সরকার তেলঙ্গানা এবং তার ওবিসি নেতাদের প্রতি করা অবিচার সংশোধন করতে পারবে।’’
ষাটের দশকে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এ যোগ দিয়েছিলেন বন্দারু। নব্বইয়ের দশক থেকে মোট চার বার সেকেন্দরাবাদ (বর্তমানে তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের লাগোয়া শহর) লোকসভা আসন থেকে ভোটে জিতেছেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁর নামে সওয়াল করে পোড় খাওয়া কংগ্রেস নেতা রেবন্ত আদতে বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে চেয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
আরও পড়ুন:
সোমবার উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ধনখড়। বুধবার নির্বাচন কমিশন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। মিশন জানিয়েছে, সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। পরে ধাপে নির্বাচনের মনোনয়ন এবং ভোটগ্রহণের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। সংসদের দুই কক্ষে, অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভার নির্বাচিত এবং মনোনীত সাংসদদের নিয়েই ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত হয়। নতুন যিনি উপরাষ্ট্রপতি হবেন, তিনি পুরো পাঁচ বছরের জন্যই পদে থাকবেন। ধনখড়ের বাকি থাকা দু’বছরের মেয়াদের জন্য নয়। ২০২৭ সালে পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নির্ধারিত ছিল এবং নির্বাচিত সেই উপরাষ্ট্রপতির মেয়াদ হত ২০৩২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এ বারের অকাল ভোটের কারণে পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন ২০৩০ সালে।
(এই প্রতিবেদনে প্রথমে বন্দারু দত্তাত্রেয়কে হরিয়ানার রাজ্যপাল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের ২১ জুলাই ওই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় তাঁর পরিচয় ছিল হরিয়ানার সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল। গোচরে আসার পর আমরা এই ভুল সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী)