ছিল মাওবাদী। দল ছেড়ে হয়েছিল গ্যাংস্টার। সোমবার সকালে তেলঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হল সেই গ্যাংস্টার নইম ওরফে মহম্মদ নইমুদ্দিন।
শাদনগরের মিলেনিয়াম কলোনির একটি বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে নইম, এই খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে সেখানে যৌথ অভিযান চালায় রাজ্যের ‘নকশাল গ্রেহাউন্ড’ ও নালগোন্ডা স্পেশ্যাল পুলিশ ফোর্স। তার আগে গোটা মিলেনিয়াম কলোনি ফাঁকা করে দেওয়া হয়। নইমের দলের লোক প্রথম পুলিশের উপর গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। সোমবার সকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নইম।
নইমের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, খুন-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ১৯৯৩-এ মাওবাদী বিরোধী অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারকে খুনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ২০টিরও বেশি হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় এই গ্যাংস্টারের। মনে করা হয় সোহরাবুদ্দিন শেখের সঙ্গেও নইমের যোগাযোগ ছিল। প্রথমে নইমই সোহরাবুদ্দিন ও তার স্ত্রীকে হায়দরাবাদে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল। পরে সে পুলিশকে সোহরাবুদ্দিন সম্পর্কে খবর দেয়। ১৯৯৩ সালে গ্রেফতার হয়ে ২০০০ সালে জামিন পায় নইম। সেই বছরেই খুনের অভিযোগে ফের ধরা হয় তাকে। কিন্তু ২০০৭ সালে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় নইম। সম্প্রতি তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) দুই বিধায়কও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে নইমের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।