বালিকা বধু সিরিয়ালটা মনে আছে? রাজস্থানের পটভূমিতে তৈরি বাল্য বিবাহ নিয়ে তৈরি টিআরপি-র নিরিখে টেলিভিশনের এক সময় জনপ্রিয়তম এই সিরিয়াল। বস্তবটা কিন্তু আদতে এই সোপ ড্রামার খুব কাছাকাছি। এই একবিংশ শতকেও রাজস্থানে বাল্য বিবাহ একটা জ্বলন্ত সমস্যা। সে রাজ্যে কোনও ভাবেই আটকানো যাচ্ছে না মধ্যযুগীয় এই সামাজিক অসুখটাকে। এ বার এই ভয়ানক সমস্যা সমূলে উপড়ে ফেলতে এগিয়ে এলেন কিছু আম আদমি। প্রশাসন যা পারেনি, সেটাই করতে উদ্যোগী হলেন তাঁরা। পদ্ধতিটা বেশ অভিনব। তাঁবু, শামিয়ানা খাটিয়ে আর পান্ডেল বেঁধে ধুমধাম করে বিয়ে রাজস্থানের চলতি রীতি। এ বার সে রাজ্যের ৪৭ হাজার তাঁবু বা শামিয়ানা ডিলাররা জানিয়েছেন, কোনও বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে তাঁরা আর তাঁবু সরবারহ করবেন না। ‘রাজস্থান টেন্ট ডিলারস কিরায়া ব্যাবসা সমিতি’-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর-কনের বার্থ সার্টিফিকেট না দেখে তাঁরা আর কোনও বিয়েতে এই সমস্ত সামগ্রী সরবারহ করবেন না। আরও জানিয়েছেন, যদি কেউ তাঁদের মিথ্যে বলে বা ভুয়ো সার্টিফিকেট দাখিল করে বাল্যবিবাহের অংশীদার করার চেষ্টা করেন, তা হলে তাঁরা তখনই কাছাকাছি পুলিশ স্টেশনে খবর পাঠাবেন।
রাজস্থানের ছোট জনপদ এবং গ্রামগুলিতে এপ্রিল মাসের শেষ এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘আখা তিজ’ উত্সবের সময় বাল্য বিবাহের হার ভয়াবহ রকমের বেশি। বিশেষত, চিতরগড়, দুঙ্গানপুর, বানসওয়ারা, ঝুনঝুনু, সিকার, চুরুর মতো জেলায় এই প্রবণতা সব থেকে বেশি।
আরও পড়ুন-মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, প্লিজ আমার স্ত্রীকে খুঁজে দিন
সাফল্য এসেছে প্রথমেই। গত শুক্রবারই এই ডিলাররা এক সঙ্গে রুখে দিয়েছেন একটি বাল্য বিবাহ।
বছরে বাল্যবিবাহের সংখ্যার নিরিখে ভারত এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ষষ্ঠ। ২০১১ সালের সেনসাস রিপোর্ট অনুযায়ী এ দেশে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী ১ কোটি ৯০ লক্ষ নাবালক বিবাহিত, যার ৭৬% মেয়ে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে আইনি বয়স ১৮-এর অনেক আগেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়াটাই দস্তুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy