Advertisement
E-Paper

মামলা তুলতে ৬০ লক্ষ টাকা দাবি নির্যাতিতার মায়ের! ধর্ষণে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার আত্মঘাতী, ছিলেন বোর্ড পরীক্ষার টপার

পুলিশ সূত্রে খবর, গত এপ্রিলে প্রতিবেশী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই ইঞ্জিনিয়ার এবং তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন ইঞ্জিনিয়ার।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:২০
ঘর থেকে উদ্ধার হয় ইঞ্জিনিয়ারের দেহ। ছবি: সংগৃহীত।

ঘর থেকে উদ্ধার হয় ইঞ্জিনিয়ারের দেহ। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। আর তার জেরে চাকরিও খুইয়েছিলেন বছর ছাব্বিশের ইঞ্জিনিয়ার। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে কাকার বাড়িতে থাকতেন। শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। নির্যাতিতার মায়ের লাগাতার ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত এপ্রিলে প্রতিবেশী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই ইঞ্জিনিয়ার এবং তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন ইঞ্জিনিয়ার। গত এপ্রিলে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। অভিযোগ, প্রতিবেশী এক শিশুকে বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে যান তিনি। শিশুর মায়ের দাবি, বাড়ি ফেরার পর শিশুটির মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন তিনি। তার শরীরে আঘাতেরও চিহ্ন ছিল। তার পরই ওই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। তার পরই চাকরি খোয়ান ইঞ্জিনিয়ার।

জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে কাকার বাড়িতে থাকছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিবার দাবি করে তারা মামলা তুলে নিতে পারে একটি শর্তে, যদি তাদের ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের দাবি, সেই শর্ত মতো ৩০ লক্ষ টাকা নির্যাতিতার পরিবারকে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও আইনজীবী মারফত নানা ভাবে ব্ল্যাকমেল এবং ভয় দেখানো হচ্ছিল ইঞ্জিনিয়ারকে। বাকি ৩০ টাকা দেওয়ার জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। বেশ কয়েক মাস ধরেই এই পরিস্থিতি চলতে থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। শুক্রবার রাতে তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ইঞ্জিনিয়ারের। তাঁর পরিবার ব্ল্যাকমেল, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইনদওরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বি টেক পাশ করেন ওই যুবক। তার পর গুরুগ্রামের একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পান। স্কুলের বোর্ড পরীক্ষার টপার ছিলেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Madhya Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy