দিল্লি পুলিশের অভিযানে ধৃত জঙ্গিরা। ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ে ১৯৯৩ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ধাঁচে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল মঙ্গলবার ধৃত ৬ জঙ্গির। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং রেলসেতু উড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল তাদের। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
ধৃত ৬ জঙ্গির মধ্যে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা জিশান কামার (২৮) এবং দিল্লির বাসিন্দা ওসামা ওরফে শামি (২২) পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে থাটায় নাশকতার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। পাক গুপ্তচরসংস্থা আইএসআই-এর তত্ত্বাবধানে সেই প্রশিক্ষণ-পর্বে তাদের বিশেষ ভাবে শেখানো হয়েছিল, সেতুর কোন অংশে বিস্ফোরণ ঘটালে তা স্থায়ী ভাবে অকেজো করে দেওয়া যাবে।
পাশাপাশি, আসন্ন উৎসবের মরসুম এবং আগামী বছরের গোড়ায় পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো একাধিক রাজ্যে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। উদ্দেশ্যে ছিল, ১৯৯৩ সালের মুম্বই-কাণ্ডের মতো অল্প সময়ের ব্যবধানে পর পর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিপুল প্রাণহানি ঘটানো।
সেই লক্ষ্যে পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে অল্প অল্প করে বিস্ফোরক আনতে শুরু করেছিল তারা। আদালতের নির্দেশে ধৃত ৬ জনকে ১৪ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। তাদের জেরা করে এমনই নানা তথ্য মিলছে বলে বলে দিল্লি পুলিশের দাবি। তদন্তকারী দলের এক সদস্য বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ধৃতদের কাছ থেকে দেড় কিলোগ্রামেরও বেশি আরডিএক্স মিলেছে। যা দিয়ে একাধিক স্থানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব।’’
এই পরিস্থিতিতি বিভিন্ন রাজ্য পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিকদের নিয়ে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসতে চলেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানাও ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy