Advertisement
E-Paper

শ্রীক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ ‘রত্নভান্ডার’ রক্ষার লড়াই 

পুরীর মিষ্টি জল ভান্ডার ধ্বংস করা থেকে স্বর্গদ্বারের শ্মশানের দূষণ বা বাঁকিমোহনে পুরীর বর্জ্যের আড়তের সদ্গতির খামতির দিকে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুভাষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২২ ০৯:১৬
আগামী ২৩ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি।

আগামী ২৩ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি। ফাইল চিত্র।

ওড়িশার সুপার সাইক্লোনের পরে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসে পুরীর স্বর্গদ্বারের কাছের এই মিষ্টি জল পান করে ‘অলৌকিক’ (গডলি) বলে উঠেছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা। জাতীয় পরিবেশ আদালতে শুনানির সময়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেছেন, “এ তো সাক্ষাৎ জগন্নাথদেবের চরণামৃত! পুরীর আসল রত্নভান্ডার!” শ্রীক্ষেত্রে সমুদ্র সৈকতের কাছেই দুর্লভ মিষ্টি জলের এলাকা রক্ষায় মামলা এ বার ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালতে গড়িয়েছে।

পুরীর মিষ্টি জল ভান্ডার ধ্বংস করা থেকে স্বর্গদ্বারের শ্মশানের দূষণ বা বাঁকিমোহনে পুরীর বর্জ্যের আড়তের সদ্গতির খামতির দিকে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুভাষ। সম্প্রতি একটি নির্দিষ্ট কমিটি গড়ে তাঁর পেশ করা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কমিটিতে রয়েছেন পুরী কোনার্ক ডেভলপমেন্ট অথরিটি, ওড়িশার জলসম্পদ বিভাগ, পুরী পুর কর্তৃপক্ষ, কেন্দ্রের গ্রাউন্ড ওয়াটার অথরিটি, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং ওড়িশা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা। আগামী ২৩ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি।

সুভাষ দত্ত বলছেন, স্বর্গদ্বারের শ্মশানে রোজ ১২০-২৫টি দেহ চিতায় পোড়ানো হয়। চিমনি বা আধুনিক পরিকাঠামো নেই। কালো ধোঁয়ায় বাতাসে তীব্র দূষণ হচ্ছে। পুরীর জঞ্জাল আড়তেও কঠিন ও তরল বর্জ্যের সদ্গতি বা ট্রিটমেন্টে নানা খামতি। কিন্তু এ সব ছাড়াও পুরীর দুর্লভ মিষ্টি জল ভান্ডার নিয়ে উদাসীনতা বেদনার। চক্রতীর্থ এবং শ্মশানের দিকের বালিয়াপন্ডায় মিষ্টি জলের সংস্থান। সুভাষ বলছেন, “সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ওই জায়গাগুলিতে অবাধে নির্মাণকাজ ঘটে চলেছে। এবং জলও নানা কাজে যথেচ্ছ ব্যবহার চলছে।” তাঁর মতে, “এমন মিষ্টি জল পুরীর সম্পদ। মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো সমুদ্র তীরের শহরগুলি পানীয় জলের বন্দোবস্ত করতে হিমশিম খায়। কিন্তু পুরীর মিষ্টি জল শুধু পানীয় হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। নইলে এ জলভান্ডারের অস্তিত্ব থাকবে না।”

puri National Green Tribunal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy