দ্রুত দুই ডোজ় প্রতিষেধক নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: পিটিআই
কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে পারছে না। তবে টিকার দু’টি ডোজ়ের সুফল মিলছে অন্য দু’ভাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, ওই দু’ধরনের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় নেওয়া সত্ত্বেও ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ ডেল্টায় সংক্রমিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে শুধু কেরলের বাসিন্দাই ৪০ হাজার। তবে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দুই ডোজ় টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা ডেল্টা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠছেন দ্রুত। এঁদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহারও তুলনায় অনেক কম। এই দুই কারণে দ্রুত দুই ডোজ় প্রতিষেধক নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আইসিএমআর-এর চেন্নাইভিত্তিক ওই গবেষণায় জানা গিয়েছে, টিকা নিয়েছেন ও নেননি দু’ধরনের মানুষের ক্ষেত্রেই ডেল্টা ভ্যারিয়েশনের সংক্রমণের আশঙ্কা সমান। মিউটেশন বা চরিত্র বদলের কারণে এরা এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে, প্রতিষেধককে অগ্রাহ্য করে মানবশরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারছে। দুই ডোজ় টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরেও ডেল্টা ভাইরাস প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে তলে তলে দুর্বল করে দেয়। পরবর্তী সময়ে সংক্রমণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যদিও দুই ডোজ় টিকা নিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের আরোগ্যলাভ ঘটে বাকিদের থেকে দ্রুত। মৃত্যুহারও এঁদের ক্ষেত্রে অনেকটাই কম।
নানা রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ডেল্টা প্রজাতি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য যে করোনাভাইরাসের এই প্রজাতি দায়ী, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। দ্বিতীয় ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে যে রাজ্যগুলিতে, কেরল তার অন্যতম। তাই কেরলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতেও বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy