পঞ্চাশ দিন অতিবাহিত। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়ে গেল। কিন্তু যাঁর আচমকা ইস্তফার জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদে অকাল নির্বাচন হল, সেই জগদীপ ধনখড় এখনও নীরব।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণে জগদীপ ধনখড়ের এই ‘চরিত্রের সঙ্গে খাপ না খাওয়া নীরবতা’ নিয়ে চর্চা চলল। গত বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন, ২১ জুলাই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইস্তফার পরে ধনখড় আর প্রকাশ্যে আসেননি। মুখ খোলা তো দূরের কথা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘কেন নতুন করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হচ্ছে, তা মনে রাখতে হবে। জগদীপ ধনখড়ের অনানুষ্ঠানিক বিদায়ের উত্তর এখনও মেলেনি।’’ সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, ‘‘গোটা দেশ জানে, বিজেপি হল কাজ মিটে গেলে ছুড়ে ফেলে দেওয়া পার্টি। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। উনি এখন নিরুদ্দেশ।’’
জগদীপ ধনখড় ইতিমধ্যেই উপরাষ্ট্রপতির সরকারি ঠিকানা ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’স এনক্লেভ ছেড়ে দিয়েছেন। আপাতত তিনি দিল্লির ছত্তরপুরে হরিয়ানার রাজনৈতিক দল আইএনএলডি-র প্রধান অভয় চৌটালার খামারবাড়িতে থাকছেন। চৌটালার ঠাকুরদা, হরিয়ানার জাঠ নেতা দেবী লালকে বরাবরই নিজের ‘মেন্টর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ধনখড়। এখন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির পেনশন ছাড়াও তিনি রাজস্থান বিধানসভার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে পেনশন পাবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল হিসেবে কোনও পেনশন পাবেন না। কারণ আইনত প্রাক্তন রাজ্যপালেরা পেনশন পান না। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর জন্য দিল্লির এ পি জে আব্দুল কালাম রোডে সরকারি বাংলো বরাদ্দ হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের মতে, গোটা দেশ তাঁর মুখ খোলার অপেক্ষায় রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)