আলফা শিবিরে ভাষণরত অভিজিৎ অসমের ছবি- ফাইল চিত্র
ইংল্যান্ডে থাকা চিকিৎসক মুকুল হজরিকাই যে আলফা স্বাধীনের চেয়ারম্যান অভিজিৎ অসম, তা নিশ্চিত করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা, এনআইএ। হজরিকা ও আলফা স্বাধীনের সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া দেশের ভিতরে ও বাইরে ঘাঁটি গেড়ে, নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইটাকে আরও জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল এনআইএ। পরেশ ওরফে কামরুজ্জামান খান ওরফে জামান ভাই ওরফে প্রদীপ ওরফে পবন বরুয়া ও মুকুল হজরিকা ওরফে অভিজিৎ অসম ওরফে অভিজিৎ বর্মণ ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে আলফা নেতা গগন হজরিকা ওরফে জয়দীপ চেলেংয়েরও।
অরবিন্দ রাজখোয়া গ্রেফতার হওয়ার পরে ২০১১ সালের নভেম্বরে মুকুল ওরফে অভিজিৎ অসম আলফার কার্যনিবাহী চেয়ারম্যান হন। আলফায় বিভাজনের পরে তিনিই হন কট্টরপন্থী শাখার স্থায়ী চেয়ারম্যান। ২০১৩ সালে অভিজিৎ ও পরেশ অসমের 'স্বাধীনতা সংগ্রাম'-এ খোলাখুলি চিনের সাহায্য চাওয়া ও চিনকে সমর্থন করার পরে তাঁর ও পরেশ বরুয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্র এনআইএকে তদন্ত করতে বলে।
তবে লন্ডনে কর্মরত চিকিৎসক মুকুল হজরিকাই আলফা স্বাধীনের চেয়ারম্যান অভিজিৎ অসম কি না, তা নিয়ে নানা মত ছিল। আলফা ও ওই চিকিৎসক নিজেও আগে সেই দাবি বহু বার উড়িয়ে দিয়েছেন। নগাঁও পুরণি গুদামের কাসোরিগাঁওয়ে হজরিকার বাড়ি দীর্ঘ দিন ধরেই তালাবন্ধ। এক বার নিজের স্কুলে ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে নানা রকমের উপহার পাঠিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- মঙ্গল মুলুকে ১০ দিন অসহায়, নির্বান্ধব হবে ইসরো-নাসার ৬ যান
২০১৫ সালে কেন্দ্র মুকুল হজরিকাকে দেশে ফেরাতে এনআইএকে চাপ দিলেও ব্রিটিশ নাগরিক হজরিকার বিরুদ্ধে এনআইএ’র হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, পশ্চিম লন্ডনের বে'জওয়াটার এলাকায় কুইন্সওয়েতে 'কুইন্সট্রি প্র্যাকটিস ক্লিনিক'-এ কর্মরত মুকুল হজরিকা ইংল্যান্ড থেকেই 'অসম ওয়াচ' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান। যা দীর্ঘ দিন ধরেই আলফার ওভারগ্রাউন্ড সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।
শনিবার চার্জশিট জমা দিয়ে এনআইএ দাবি করেছে, মুকুল হজরিকাই যে অভিজিৎ অসম, তা নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। মুকুল ইংল্যান্ডে ও পরেশ মায়ানমারে গা-ঢাকা দিয়ে আছে। তাদের 'পলাতক' ঘোষণা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তদন্ত চলছে আলফার অপর মাথা দৃষ্টি রাজখোয়ার বিরুদ্ধেও।
অবশ্য চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেও এ দিন ফের পরেশ বরুয়া দাবি করেন, মুকুল হজরিকা এক জন মানবাধিকার কর্মী। তাঁর সঙ্গে আলফার সম্পর্ক নেই। তিনি অভিজিৎ নন। পরেশের কথায়, "আসলে এনআইএ বা ভারত সরকার আমাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করতে পারছে না। তাই লোক দেখানো চার্জশিট জমা দেওয়া হল। জোর করে মিথ্যেকে সত্যি প্রতিপন্ন করা যায় না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy