ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল গত সপ্তাহেই। পদত্যাগী উপরাষ্ট্রপতি (এবং পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান) জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের পালাও শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন জানাল, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’-এর তালিকা প্রস্তুত করার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো নয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিধায়কদের ভোটাধিকার থাকলেও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কেবলমাত্র রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরাই ভোট দিতে পারেন। এখনও কমিশন ভোটের তারিখ ঘোষণা করেনি। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও ভোটগ্রহণের মধ্যে অন্তত এক মাসের ব্যবধান থাকতে হয়। ফলে আগামী ১২ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই ভোটগ্রহণ হতে পারে। জল্পনা রয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বাদল অধিবেশনের মেয়াদ বাড়াবে কেন্দ্র।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ধনখড়। পরের দিনই কমিশন জানায়, তারা পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি বেছে নিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পালা করে দায়িত্ব পড়ে লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলদের। যে হেতু গত বার নির্বাচনের দায়িত্বে লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন, তাই এ বারে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল প্রমোদচন্দ্র মোদীকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রমোদচন্দ্র ছাড়াও রাজ্যসভার দুই পদস্থ কর্তা বিজয় কুমার ও গরিমা জৈনকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে বেছে নিয়েছে কমিশন। নতুন যিনি উপরাষ্ট্রপতি হবেন, তিনি পুরো পাঁচ বছরের জন্যই পদে থাকবেন। ধনখড়ের ছেড়ে দেওয়া দু’বছরের জন্য নয়। স্বাভাবিক ভাবে যেখানে ২০২৭ সালে পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নির্ধারিত ছিল এবং নির্বাচিত সেই উপরাষ্ট্রপতির মেয়াদ হত ২০৩২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এ বার পরের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর। অর্থাৎ ২০৩০ সালে।