সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থের জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি। ত্রাতা সেই যুবকই এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন হাসপাতালে। প্রেমিকার সঙ্গে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন যুবক। প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সঙ্কটজনক অবস্থায় লড়াই চালাচ্ছেন তিনি।
রজত কুমার। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁচিশের এই যুবকের সঙ্গে তাঁরই এলাকার এক তরুণী মনু কাশ্যপের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয়নি দু’জনেরই পরিবার। জাতিগত সমস্যা রজত এবং মনুর বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। ফলে দু’জনের পরিবারই তাঁদের বিয়েতে সম্মতি দিতে রাজি হয়নি। রজত এবং মনুর বাড়ি থেকে সম্বন্ধ দেখা শুরু হয়, যা ওদের দু’জনের কেউই মেনে নিতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’জনেরই সম্বন্ধ করে বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই তাঁরা একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু’জনে এক নির্জন জায়গায় দেখা করেন। সেখানেই একসঙ্গে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এক যুবক এবং তরুণীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়েরাই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসার সময় মনুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন রজত।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর গাড়ি চালিয়ে ফেরার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন পন্থ। দুর্ঘটনার পরই পন্থের গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঠিক তখনই ত্রাতার মতো সেখানে হাজির হয়েছিলেন রজত কুমার এবং নিশু কুমার নামে দুই যুবক। গাড়ির কাচ ভেঙে পন্থকে বার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সময়মতো পন্থকে উদ্ধার না করলে তাঁর জীবন সংশয় হত বলে জানিয়েছিলেন পন্থ। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন পন্থকে দেখতেও গিয়েছিলেন রজত এবং নিশু। তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য দুই যুবককে পুরস্কারও দিয়েছিলেন পন্থ। রজত এবং নিশুকে দু’টি স্কুটার উপহার দেন ভারতীয় ক্রিকেটার।
কিন্তু পন্থের জীবনে ত্রাতা হয়ে আসা সেই রজতের জীবনই এখন সঙ্কটে। হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।