Advertisement
E-Paper

ধর্ষিতার নীরবতা তাঁর সম্মতির প্রমাণ নয়, বলল দিল্লি হাইকোর্ট

২০১৫ সালে দিল্লির এক নিম্ন আদালত মুন্না নামে ২৮ বছরের যুবককে ধর্ষণের অপরাধে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানায় মুন্না।  ধর্ষিতার নীরবতার কথা উল্লেখ করে অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মুন্নার আইনজীবী।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭ ১৭:৫৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ধর্ষণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহিলা চুপ থাকলে সেটাকে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে সম্মতির প্রমাণ হিসাবে ধরে নেওয়া যাবে না। একটি মামলায় রায় দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করল দিল্লি হাইকোর্ট। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সঙ্গীতা ধিঙ্গরা সেহগল অভিযুক্তের দশ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন।

২০১৫ সালে দিল্লির এক নিম্ন আদালত মুন্না নামে ২৮ বছরের যুবককে ধর্ষণের অপরাধে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানায় মুন্না। ধর্ষিতার নীরবতার কথা উল্লেখ করে অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মুন্নার আইনজীবী। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, সম্মতি ছাড়া যে কোনও ধরনের শারীরিক সম্পর্কই ধর্ষণ। তাই মুন্নার কারাদণ্ডের সাজা বহাল থাকবে।

আরও পড়ুন: সুনসান গলিতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, দেখুন ভিডিও

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী ২০১০ সালের ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশ থেকে কাজের খোঁজে দিল্লি আসেন। অভিযোগ, তাঁকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হরিয়ানার পানিপতে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রাখে মুন্না। ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। তরুণী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে খুনের হুমকিও দেয় মুন্না। পরে ওই তরুণীকে নয়ডায় বন্ধু সুমন কুমারের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় মুন্না। সুমনই পরে পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান। সেই অভিযোগ মতো পুলিশ গ্রেফতার করে মুন্নাকে।

Delhi High Court Rape Sexual Relation Uttar Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy