চলছে দামের পরখ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
ছোট মেয়েকে স্কুলবাসে তুলতে আসা দুই বাবার মুখে আজ আর স্কুলের পরীক্ষা নিয়ে কথা নেই। যিনি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, তাঁর চিন্তা ‘ক্লোজিং’ নিয়ে। জিএসটি-র আগে বিমার প্রিমিয়াম কিংবা প্রোমোটারের অগ্রিম মিটিয়ে দিতে সবাই টাকা তুলে নিচ্ছে যে! পরে যদি খরচ বাড়ে।
অন্য জনও আতান্তরে। তবে কারণ উল্টো। তিনি যেখানে কাজ করেন, সেই জীবনবিমা সংস্থায় উপচে পড়ছে প্রিমিয়ামের চেক। নতুন কর চালু হওয়ার আগেই তা চুকিয়ে দিতে। তিনি বলছিলেন, ‘‘আগের দিন সমস্ত চেক এন্ট্রি করেছি প্রায় সারা রাত। কিন্তু শুক্রবার তো রাত ১২টার পরেই বদলে যাবে কর-ছবি। তখন?’’ করের দরুণ প্রিমিয়াম বাড়লে, সেই হ্যাপা সামলানো নিয়ে তিনি চিন্তিত।
গত ক’দিন ধরেই জিএসটি বিনা গীত নেই বাঙালির! ফেসবুক ছয়লাপ। হোয়াটসঅ্যাপ অক্লান্ত। সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে যাচ্ছে রসিকতায়। অফিস, রাস্তাঘাট এমনকী রকের আড্ডাতেও কান পাতলেই জিএসটি! নোট বাতিলের পরে নয়া কর জমানা নিয়ে অষ্টপ্রহর আলোচনায় মজেছে আমজনতা।
আরও পড়ুন: স্বাগত, কিন্তু চিন্তা রূপায়ণ
মিষ্টি ব্যবসায়ীর চিন্তা, শনিবার থেকে এত জটিল হিসেব রাখবেন কী ভাবে? ওষুধ ব্যবসায়ীর টেনশন, পাড়ার মাসিমাকে প্রেশারের ওষুধ দিতে পারেননি। জিএসটি-র চক্করে ওষুধ সরবরাহ প্রায় বন্ধই রেখেছেন ডিস্ট্রিবিউটররা। কাপড়ের দোকানে ঝাঁপ বন্ধ। কম্পিউটার কিনবে কি না, ভাবছে মুদি দোকান। ছাড়ের গন্ধে ভিড় উপচে পড়ছে ফ্রিজ-টিভি-মোবাইলের দোকানে। আট বছরের সম্পূর্ণাও বলছে, ‘‘জানি আজ জিএসটি!’’ কী করে? নিন্দুকেরা কি একেই মোদী-ম্যাজিক বলেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy