দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো জানালেন, তাঁদের তরফ থেকে বিস্ফোরণের তদন্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলির প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন তাদের নেই। তারা খুব ভাল কাজ করছে।”
জি৭ গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার কানাডায় গিয়েছিলেন রুবিয়ো। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমরা (ভারতকে) সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা এই ধরনের তদন্তের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পারদর্শী।” জি৭ বৈঠকের ফাঁকে রুবিয়োর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। ওই বৈঠকে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি দিল্লির বিস্ফোরণ নিয়েও আলোচনা হয়। ওই বৈঠক প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে লেখেন, “উনি (রুবিয়ো) দিল্লির বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।” একই সঙ্গে জয়শঙ্কর লেখেন, “আমাদের (ভারত এবং আমেরিকা) দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া, বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছে। পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে ইউক্রেনের যুদ্ধ, পশ্চিম এশিয়া এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়েও।”
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবারই দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। ভারতে সদ্য নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিয়ো গোর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, “আগের দিন রাতে দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আশা করব, আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে একটি সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন উমর উন-নবি নামে এক চিকিৎসক। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই সকালে ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ দল। গ্রেফতার করা হয়েছিল মুজ়াম্মিল আহমেদ-সহ একাধিক ব্যক্তিকে।