মহম্মদ নাভেদ
নাভেদ যে সে দেশের নাগরিক, পাকিস্তান তা স্বীকার করেনি। অথচ তার বাবাই মেনে নিয়েছিলেন, তিনি এক ‘হতভাগ্য পিতা’। পুলিশের জেরার মুখে নাভেদ ফৈজলাবাদের যে ঠিকানা দিয়েছিল, এ বার সেখানকার আশপাশের বাসিন্দারাও জানিয়ে দিলেন, এই ছেলেটিই তাদের পড়শি।
উধমপুরে জঙ্গি হামলার চার দিন পরেও এ দিন পুরনো ফৈজলাবাদের গুলাম মহম্মদাবাদে গিয়ে দেখা যায় এলাকা বেশ থমথমে। পাড়ার ছেলে জঙ্গি, ভারতের সন্ত্রাস-হানায় ধৃত, সকলেই সে সম্পর্কে অবহিত। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে তাই অনেকেই অস্বস্তিতে পড়ে যান। কেউ কেউ আবার প্রশ্নই করে বসেন, ‘‘এখানে কেন? কী চান? ওটা নিয়ে কী করছেন?’’ যদিও পাল্টা প্রশ্ন করতে প্রতিবেশীদের সকলেই দেখিয়ে দেন, রফিক কলোনির ৩ নম্বর রাস্তার শেষের বাড়িটা নাভেদদের। এখানেই থাকত মহম্মদ ইয়াকুবের তৃতীয় সন্তান।
তবে এ দিন সেই ঠিকানায় গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায়, উত্তর মেলেনি সে প্রশ্নেরও। যদিও কিছু দিন আগে একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইয়াকুব জানিয়েছিলেন, ‘‘আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। এক দিকে লস্কর, অন্য দিকে পাকিস্তানি সেনা পিছনে পড়ে রয়েছে।’’ তবে কি ভয়েই ঘরছাড়া প্রৌঢ়? জবাব মেলেনি তার।
পাকিস্তানের দিকে আঙুল ওঠায় জঙ্গি-হামলার পরের দিনই পাক বিদেশ মন্ত্রক বলে দেয়, ‘‘অনেক বার বলেছি, তড়িঘড়ি পাকিস্তানের উপর দায় চাপানো বন্ধ করুক ভারত। আগে প্রমাণ মিলুক। আশা করি ভবিষ্যতে যথাযথ তথ্য-প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবে ওরা।’’ আজ অবশ্য নতুন করে কোনও মন্তব্য করেনি পাকিস্তান। দিনই আবার নাভেদকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy