বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আলোচনারত জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা। ছবি: পিটিআই।
সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মধ্যে থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপত্যকায় চিরস্থায়ী সমাধান সূত্র খুঁজতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এগোতে হবে বলে সোমবার মন্তব্য করেছেন তিনি।
জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা এ দিন নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, উপত্যকায় এই অস্থিরতার বাতাবরণে নিহত প্রতিটি মানুষই এ দেশের। মাসখানেকের বেশি সময় ধরে অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর। উপত্যকার এই অস্থির পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট ব্যথিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলির নেতারা মোদীর সঙ্গে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন। উপত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মোদীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
গত ৮ জুলাই হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৭০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। মোদী এ দিন বলেন, “পুলিশকর্মী হোক বা যুবসমাজের কেউ, কাশ্মীরে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের জন্য আমি গভীর ভাবে বেদনাহত। তাঁরা তো আমাদেরই!”
এ দিনের বৈঠকে ওমর আবদুল্লা ছাড়াও হাজির ছিলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি এ মির-সহ ন্যাশনাল কনফারেন্সের শীর্ষ নেতারা। উপত্যকায় বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ছররা বন্দুকের ব্যবহার নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। ছররার আঘাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকেই দ়ৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এ দিনের বৈঠক শেষে উপত্যকায় অবিলম্বে ছররা বন্দুক নিষিদ্ধ করা দাবি জানিয়ে মোদীকে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন
কাশ্মীরে অশান্তি পাক মদতেই, ফের দাবি রাজনাথের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy