এক-দু’জন নয়, একযোগে তিন জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজ জমি প্রশ্নে তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে। তাঁদের প্রশ্ন, বিগত ইউপিএ জমানার এক দশকে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশে অধিগ্রহণের নামে যখন কৃষিজমি লুঠ হচ্ছিল, কখন কেন চুপ ছিলেন কংগ্রেস সহসভাপতি?
কংগ্রেস মনে করছে চাপে পড়েছে বলেই একা রাহুলের মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীবাহিনীকে এ ভাবে মাঠে নামতে হয়েছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসও জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দিনে যে রাজ্যেই ২০১৩ সালের জমি আইন সংশোধনের চেষ্টা হবে, কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। বিহারে ভোটের মুখে কৃষকদের দুর্দশার কথা আরও বেশি করে তুলে ধরা ও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর দাবিতে পথে নামবে রাহুল-ব্রিগেড।
জমি অধিগ্রহণ আইন বদলাতে গিয়ে মুখ পুড়েছে মোদী সরকারের। বিহার ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী তাই ঘোষণা করেছেন, আর জমি আইন বদলানোর চেষ্টাই করবে না কেন্দ্র। তাতে আবার শিল্পমহলের চাপ বেড়েছে সরকারের উপরে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারগুলির মাধ্যমে জমি আইন সংশোধনের কথা ভাবা হচ্ছিল। তা-ও রুখে দেওয়ার কংগ্রেসি পরিকল্পনা আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। এই জোড়া চাপের মুখেই বিজেপি শিবির আজ পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চৌধুরি বীরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে কী ভাবে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (এসইজেড)-এর নামে শিল্পপতি ও বিল্ডারদের জমি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।’’ বিজেপির দাবি, সেই তদন্তেই স্পষ্ট হয়ে যাবে গত এক দশকে কংগ্রেস বাস্তবে কতটা কৃষকদরদি ছিল! এ দিন বীরেন্দ্রকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। বেঙ্কাইয়ার অভিযোগ, ‘‘গত দশ বছরে অন্ধ্রের কংগ্রেস সরকার জলের দরে ৫ লক্ষ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। আর এখন যখন বাজার দরের চেয়ে ৪ গুণ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তা নিয়ে হইচই জুড়েছেন রাহুল!’’
গডকড়ীর অভিযোগ, ‘‘দশ বছরে ৩৭টি এসইজেড বানাতে হরিয়ানার বিপুল জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। দিল্লির লাগোয়া ওই সব জমিতে এ পর্যন্ত মাত্র ছ’টি এসইজেডের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি জমির চরিত্র বদলে তাতে আবাসন বানিয়ে বিক্রি করার ছক কষা হয়েছিল।’’ এই নিয়ে রাহুল কেন চুপ, জানতে চায় বিজেপি।
কংগ্রেসের মতে, জমি-প্রশ্নে রাহুল এখনও যে রকম আক্রমণাত্মক, তাতেই অশনি সঙ্কেত দেখছে বিজেপি। বিহারে ভোটের মুখে তাই জমি নিয়ে পাল্টা আক্রমণে নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy