সাংবাদিক সুজাত বুখারি খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করা হল। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা এবং হিজ়বুল মুজাহিদিনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখার অভিযোগে তিন সরকারি কর্মীকে তাঁদের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই তিন জনের মধ্যে একজন সুজাত বুখারি খুনের ঘটনায় জড়িত বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, শ্রীনগরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত ওয়াসিম আহমেদ খান সাংবাদিক বুখারি এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্মীর খুনের পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালে ১৪ জুন খুন হয়েছিলেন সাংবাদিক। সেই বছরই ১২ অগস্ট শ্রীনগরের বটমালু এলাকায় সন্ত্রাসবাদী হানায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওয়াসিমকে। পুলিশ-প্রশাসনের আরও অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের চাকরির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই এ দেশে সন্ত্রাসবাদের জালছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় ছিলেন ওয়াসিম।
ওয়াসিম ছাড়াও পুলিশ কনস্টেবল মালিক ইশফাক নাসির এবং সরকারি স্কুলের শিক্ষক ইজাজ় আহমেদকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও রয়েছে লস্কর-ই-তইবা এবং হিজ়বুল মুজাহিদিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার অভিযোগ।
অন্য দিকে সংবাদ সংস্থার খবর, দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকা এবং পাক গোয়েন্দার সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থানের জয়সলমের থেকে আরও এক সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শাকুর খান নামের ওই ব্যক্তি রাজস্থান সরকারের একটি দফতরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। সে রাজ্যের পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (সিআইডি) বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত জানাচ্ছেন, দেশবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের আরও দাবি, ভারতে পাকিস্তানের দূতাবাসের একাধিক কর্মীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল শাকুরের। বিভিন্ন সময়ে তিনি যে একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন— সে কথা জেরায় স্বীকার করেছেন শাকুর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)