অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন শ্রীকান্ত ( বাঁ দিকে) এবং লোকেশ। ছবি: সংগৃহীত।
হরিয়ানার ভিওয়ানিতে দুই ব্যক্তিকে গাড়িসমেত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। যে পাঁচ ‘গোরক্ষকের’ বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের মধ্যে তিন জন হরিয়ানা পুলিশের ‘ইনফর্মার’! এমনটাই দাবি করা হয়েছে এফআইআরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ অভিযুক্ত হলেন, অনিল, শ্রীকান্ত, রিঙ্কু সাইনি, লোকেশ সিংলা এবং মোহিত যাদব ওরফে মনু মানেসর। অভিযুক্তদের মধ্যে রিঙ্কু, লোকেশ এবং শ্রীকান্ত পুলিশের ‘ইনফর্মার’ হিসাবে কাজ করতেন। এফআইআর অনুযায়ী, গরু পাচারের খবর পেলেই এই তিন জন পুলিশের সঙ্গে অভিযানে যেতেন। পাচার সংক্রান্ত সব খবর পুলিশকে দিতেন। এই ঘটনায় চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। আর সবক’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে মেওয়াটের ফিরোজপুর ঝিরকা থানায়।
গত বৃহস্পতিবার হরিয়ানার ভিওয়ানিতে পুড়ে যাওয়া একটি এসইউভি থেকে দু’টি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই কঙ্কাল দু’টি রাজস্থানের বাসিন্দা নাসির এবং জুনেইদের। গরু পাচারের অভিযোগেই কি এই দু’জনকে খুন করা হয়েছে, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জুনেইদের বিরুদ্ধে গরু পাচারের পাঁচটি মামলা ছিল। তবে নাসিরের কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই।
পুলিশের একটি সূত্র এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, গরু পাচারকারী সন্দেহে নাসির এবং জুনেইদকে মারধরের পর থানায় নিয়ে যান অভিযুক্তরা। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, এই দু’জনকে গরু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করুক পুলিশ। কিন্তু তা করা হয়নি। এর পরই দু’জনেক নিয়ে থানা ছেড়ে চলে যান অভিযুক্তরা। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় জুনেইদদের। অভিযোগ, তার পর দেহ লোপাট করার জন্য নাসির এবং জুনেইদ দু’জনকে ওঁদের গাড়িতে চাপিয়েই ২০০ কিলোমিটার দূরে ভিওয়ানিতে নিয়ে গিয়ে গাড়ি-সহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy