—ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক সীমান্তের ধারে ড্রোনের আনাগোনা এবং জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষ— এই দুই ঘটনায় গত কাল রাত থেকে উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর। ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আকাশে গত ১৫ দিনে এই নিয়ে ছ’টি চালকহীন ড্রোন দেখা গেল। বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে যে তিন জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে এক জন লস্কর-এ-তৈবার কমান্ডার।
জম্মুর আর্নিয়া সেক্টরের কাছে গত কাল রাত ১০টা নাগাদ একটি ড্রোনকে উড়তে দেখেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর জওয়ানেরা। দেখা মাত্রই তাঁরা গুলি চালান। আজ এক বিবৃতিতে বিএসএফ বলেছে, ‘১৩ জুলাই রাত ৯টা ৫২ মিনিট নাগাদ আমাদের জওয়ানেরা একটি লাল আলো দেখতে পান। আলোটি কখনও জ্বলছিল, কখনও নিভছিল। সেই আলো লক্ষ্য করে জওয়ানেরা গুলি চালায়’। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গুলি চালানোর পরে ড্রোনটি সীমান্তের ওপারে চলে যায়।বাহিনীর এক অফিসার জানিয়েছেন, ড্রোনটি ভারতের প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। ২০০ মিটার উপর দিয়ে উড়ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ড্রোন এখন পাকিস্তানের নতুন ওয়াচ টাওয়ার।’’
এ দিকে, গত কাল রাতেই দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান চালায় পুলিশ, সিআরপিএফ ও সেনার যৌথবাহিনী। নিউ হাসপাতাল রোড এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে খবর পাওয়ার পরেই অভিযান শুরু হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বাহিনী সেখানে গিয়ে পৌঁছলে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। রাতে সংঘর্ষ বন্ধ রাখা হলেও ভোর হতেই তা শুরু হয়। পরে দেখা যায়, ৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy