Advertisement
E-Paper

মানসে বাড়ল বাঘ, কাজিরাঙায় রদবদল

গত চার বছরে ভারত-ভুটান মিলিয়ে মানসে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে সাতটি। অন্তত ক্যামেরার চোখ তাই বলছে। গত বছর ভারতের দিকে মানস জাতীয় উদ্যান ও ভুটানের দিকে রয়্যাল মানস জাতীয় উদ্যানে দ্বিতীয়বার ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৬

গত চার বছরে ভারত-ভুটান মিলিয়ে মানসে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে সাতটি। অন্তত ক্যামেরার চোখ তাই বলছে। গত বছর ভারতের দিকে মানস জাতীয় উদ্যান ও ভুটানের দিকে রয়্যাল মানস জাতীয় উদ্যানে দ্বিতীয়বার ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছবিগুলির বিচার-বিশ্লেষণের পরে সদ্য চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী দুই দেশের মানস মিলিয়ে মোট ২১টি রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে ভুটানের রয়্যাল মানসে দেখা গিয়েছে ১১টি বাঘ ও ভারতের মানসে ১৪টি। চারটি বাঘ দুই পারের জঙ্গলেই ঘোরাফেরা করছে। ২০১১ সালে প্রথম দুই দেশের মানসে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ে ১৪টি বাঘের দেখা মিলেছিল। মানসের দু’পাশের বাঘের বিচরণভূমিকে এক করে সংরক্ষণ কাজ চালানোর জন্য টাইগার্স অফ ট্রান্সবাউন্ডারি মানস কনজারভেশন এরিয়া (ট্রামকা) বিষয়ে দুই দেশের বন দফতর ও পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি কাজ করছে। ভারত ও ভুটান বন দফতর সূত্রে জানানো হয়, প্রথম দফায় ভারতের দিকের মানসে বাঁশবাড়ি ও ভুঁইঞাপাড়া রেঞ্জে ক্যামেরা ট্র্যাপিং চালানো হয়। পরে ভুটানের দিকে উমলিং ও মানস রেঞ্জে ক্যামেরা পাতা হয়।

ভারতের দিকে ২৪০ বর্গ কিলোমিটার ও ভুটানের দিকে ৩২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বেছে নিয়ে ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। এর আগে ভুটান সরকার বাইরের সমীক্ষকদের মানসে প্রবেশাধিকার দিতে রাজি হয়নি। দীর্ঘ আলোচনার পরে দুই মানস এক করে সমীক্ষা ও সংরক্ষণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভুটানের কৃষিমন্ত্রী ইয়েশি দোর্জির মতে, জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় বাঘ সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাড়াতে হবে বাঘের খাদ্য প্রাণীর সংখ্যাও। তবে অরণ্য ধ্বংস ও বন্যপ্রাণ চোরাচালান নিয়ে দুই দিকের কর্তৃপক্ষই চিন্তায়। কাজিরাঙায় গন্ডার হত্যা থামাতে না পেরে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সম্প্রতি কাজিরাঙায় যোরহাট, গোলাঘাট ও নগাঁও জেলার জেলাশাসক ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। নির্দেশ দেন, যে ভাবে হোক শিকার বন্ধ করতেই হবে। কংগ্রেস আমলে গন্ডার শিকার নিয়ে গগৈ সরকারের বিস্তর সমালোচনা করে সোনোয়ালদের আমলে এক মাস না কাটতেই দু’টি গন্ডার মরেছে। তাই বেশ চাপে আছেন সোনোয়াল ও বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। মুখ্যমন্ত্রী অরণ্য ঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দাদের কাতর অনুরোধ করেন, শিকারিদের আশ্রয় না দিতে এবং শিকারিদের গতিবিধির খবর রক্ষীদের দিয়ে গন্ডার সংরক্ষণে সাহায্য করতে।

এ দিকে, বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম কাজিরাঙায় বনকর্তাদের ব্যাপক রদবদল করেছেন। সহ-বন সংরক্ষক জে সি নাথ ও এন দিহিঙিয়ার স্থানে পল্লব ডেকা ও আলতামাস বেগকে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাগরির এসিএফ রমেন দাসকে কাজিরাঙা সদর কার্যালয়ে পাঠিয়ে তাঁর স্থানে কে কে ডেকাকে নিয়োগ করা হয়। গন্ডার হত্যার খবর গোপন করায় শাস্তিমূলক বদলি হিসেবে অগরাতলির রেঞ্জার সেলিম আহমেদকে করিমগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। অগরাতলিতে এলেন গুণজিৎ তালুকদার। ডেপুটি রেঞ্জার হলেন তেজস্ব মারিস্বামী।

Tiger Manas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy