কোনও চিনা প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট সফরের সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই কিছু বিষয় উহ্য রেখে দেন। পরে চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে সেই বার্তা উঠে আসে। শি চিনফিংয়ের সাম্প্রতিক সফর নিয়েও তেমন কিছু হবে কি না, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিল ভারত। তবে আজ পর্যন্ত নানা চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে কাশ্মীর প্রসঙ্গ নেই।
দক্ষিণ ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে দু’দেশ। আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ ওঠেনি। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা ঘরোয়া আলোচনায় জানান, চিনফিং চলে গেলেও উদ্বেগ ছিলই। এক কর্তার কথায়, ‘‘চিন এমন দেশ, যে না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’’ বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এ বারের সফর ছিল একটা ‘ঘরোয়া’ আলোচনা।
আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক সফরে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু ঘরোয়া সংলাপ হওয়ায় এখানে কোনও যৌথ বিবৃতি দেওয়ার সুযোগ ছিল না। যৌথ বিবৃতির ক্ষেত্রে দু’পক্ষের বক্তব্য লিখিত নথি হিসেবে পেশ করা হয়। তার পরে আর নতুন করে কিছু বলার সুযোগ থাকে না। কিন্তু ‘ঘরোয়া’ আলোচনার ইতিবাচক দিক হল খোলামেলা ভাবে সব কিছু আলোচনা করা যায়। আবার পরে বক্তব্য বদলের সুযোগও থাকে। কাশ্মীর প্রসঙ্গ সংবাদমাধ্যমে না ওঠায় কিছুটা স্বস্তিতে দিল্লি।