দেশের চারটি রাজ্যের বিধানসভায় স্বীকৃত দল হওয়ার সুবাদে আজ নির্বাচন কমিশনের তরফে তৃণমূলকে রাজ্য দল থেকে জাতীয় দলের মর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। তৃণমূলের অন্তর্ভুক্তিতে দেশে জাতীয় দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৭।
পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় বার জেতার পর থেকেই জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়ার জন্য কমিশনের কাছে তদ্বির শুরু করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তাঁর যুক্তি ছিল, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর— মোট চারটি রাজ্যে তৃণমূল স্বীকৃত দল। লোকসভায় ৮ জনের বেশি সাংসদও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে অরুণাচলে খারাপ ফলের কারণে তৃণমূলের ওই স্বীকৃতি আটকে দেয় কমিশন।
দিন দশেক আগে রাজনৈতিক দলগুলির স্বীকৃতির প্রশ্নে নিয়ম বদল করেছে কমিশন। নতুন নিয়মে বলা হয়, পাঁচ বছরের বদলে এখন থেকে প্রতি ১০ বছর অন্তর কোনও দল জাতীয় বা রাজ্য দলের মর্যাদা অর্জন করছে না হারাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। এতে গত লোকসভায় খারাপ ফল করা সত্ত্বেও জাতীয় দলের মর্যাদা হারায়নি সিপিএম, সিপিআই বা বিএসপি। সেই নয়া নিয়মেই যোগ্যতামান পেরিয়ে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেল তৃণমূল।
আড়াই বছরের মাথায় লোকসভা ভোট। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-কে আটকাতে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্ট গড়ার আভাস দিতে শুরু করেছে তৃণমূল, জেডিইউ বা সমাজবাদী পার্টির মতো আঞ্চলিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়ায় অন্য আঞ্চলিক দলগুলির থেকে রাজনৈতিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক ভাবেও তৃণমূল এক ধাপ এগিয়ে থাকল বলেই মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব। মুকুলবাবুর কথায়, ‘‘দলের সঙ্গে সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জাতীয় রাজনীতিতে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy