দেশে মাত্র এগারো হাজারের কাছাকাছি বিদেশি নাগরিকের কাছে আধার কার্ড রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধার কর্তৃপক্ষ। তার পরেও কেন দেশ জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রয়োজন হল, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সাকেত গোখলে। বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, সাকেত বৈধ ও অবৈধ বিদেশীর মধ্যে পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেছেন!
সম্প্রতি আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই)-কে চিঠি লিখে কত জন বিদেশির কাছে আধার কার্ড রয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন সাকেত। আধার কর্তৃপক্ষ জানান, দেশে বসবাসকারী ১১,২৭২ জন বিদেশিকে আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে। যার ভিত্তিতে সাকেতের প্রশ্ন, আধার কর্তৃপক্ষের কাছে যখন ওই বিদেশিদের সংখ্যা রয়েছে, তখন কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করছেন যে, দেশে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো আধার রয়েছে? ভোটার তালিকার সংশোধনেরই বা কী প্রয়োজন রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাকেত।
আধার কর্তৃপক্ষের মতে, বিদেশি নাগরিক, মূলত যাঁরা কাজের সূত্রে গত এক বছরের মধ্যে টানা ১৮২ দিন ভারতে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রয়েছেন, তাঁরা আধার কার্ড পাওয়ার যোগ্য। বিজেপির বক্তব্য, ভুয়ো আধার বলতে দু’টি বিষয় বোঝায়। প্রথমত— অনুপ্রবেশকারীদের কাছে থাকা ভুয়ো কাগজপত্রের ভিত্তিতে তাদের হাতে বৈধ আধার কার্ড চলে আসা। দ্বিতীয়ত— জাল আধার কার্ড বানিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় পরিচিতি দেওয়া। উপরোক্ত দু’টি ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ দেশে শীর্ষে। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘সাকেত ভারতে বসবাসকারী বৈধ ও অবৈধ বিদেশীর মধ্যে তফাৎ বুঝতে পারেননি! দীর্ঘমেয়াদি ভিসা নিয়ে যে বিদেশিরা ভারতে এসেছেন তাঁরা আধার কার্ড পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু অনুপ্রবেশকারীরা নয়। কিন্তু তাঁদের হাতেও ঘুরপথে তৃণমূলের সৌজন্যে আধার চলে আসছে। সেই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেই ভোটার তালিকায় সংশোধন করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)