Advertisement
E-Paper

ভিন্‌ রাজ্যে মৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূলের

এই পরিস্থিতিতে আজ সংসদের ভিতরে-বাইরে তৃণমূল দাবি করল, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে নির্যাতন ও খুন করা হচ্ছে কাজের খোঁজে যাওয়া বাঙালিদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

রাজস্থানের মাটিতে মালদহের আফরাজুল শেখের হত্যাকাণ্ড টিভিতে দেখেছিল গোটা দেশ। আলিপুরদুয়ারের মধু সরকারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে গুজরাতে। এই পরিস্থিতিতে আজ সংসদের ভিতরে-বাইরে তৃণমূল দাবি করল, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে নির্যাতন ও খুন করা হচ্ছে কাজের খোঁজে যাওয়া বাঙালিদের।

আজই প্রকাশ্যে এসেছে নয়াদিল্লিতে এক বাঙালির অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা। হাওড়ার ডোমজুড়ের সাপেরডাঙা গ্রামের বাসিন্দা, বছর তিরিশের ঠাকুরদাস মাজির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গত ১৬ ডিসেম্বর। রাজস্থান ও গুজরাত বিজেপি-শাসিত হলেও দিল্লিতে আপের সরকার। কিন্তু ঘটনাস্থল দেশের রাজধানী এলাকায় হওয়ায় তা অন্য মাত্রা পেয়েছে।

আজ সংসদ শুরুর আগে গাঁধীমূর্তির নীচে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অন্য রাজ্য থেকে বাংলায় কাজ করতে আসা মানুষদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাটুকু দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার মানুষেরা রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে গিয়ে খুন হচ্ছেন।’’ রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়েরা মুলতুবির নোটিস দেন। বারবার ওয়েলে নেমে আসেন তৃণমূল সাংসদেরা। রাজ্যসভায় আজই ইনিংস শুরু করা মানস ভুঁইয়াও ছিলেন সেই দলে। ডেরেকের কথায়, ‘‘সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই নৃশংস ঘটনা ঘটছে, কিন্তু সরকার নীরব।’’ এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিপজ্জনক খেলায় নেমেছে তৃণমূল। ভিন্ রাজ্যে কারও মৃত্যু হলেই রাজনীতির রং দেওয়া অনুচিত।’’ রাজনৈতিক সূত্রের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রাসঙ্গিক থাকাটা এখন অগ্রাধিকার তৃণমূলের কাছে। জাতীয় স্তরেও একক ভাবে কেন্দ্র-বিরোধিতার যে অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল, তাতেও অক্সিজেন দিল আজকের বিক্ষোভ।

মধুর বোন সুমিত্রা বলেছেন, ‘‘গুজরাত পুলিশ জানিয়েছে, দাদা পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে। আমাদের সন্দেহ, খুনের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা ফের ময়না-তদন্ত দাবি করেছি।’’ আজ, বৃহস্পতিবার মধুর দেহ আসতে পারে বলে আশা পরিবারের।

দিল্লিতে করোল বাগের একটি কারখানায় হিরের কাজ করতেন ডোমজুড়ের ঠাকুরদাস। দিল্লির বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় আত্মহত্যার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে চার জনকে আটক করে জেরা চলছে। ঠাকুরদাসের মোবাইলের কল লিস্ট দেখে কলকাতার কয়েক জনকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু ঠাকুরদাসের পরিবারেরও সন্দেহ, তাঁকে খুন করা হয়েছে।

TMC Parliament protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy