Advertisement
E-Paper

হাদির মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন, বাংলাদেশকে সংযত হতে বলল রাষ্ট্রপুঞ্জ, লাগাতার অশান্তির মধ্যে জারি বিবৃতি

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস হাদি হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে সংযত হতে বলেছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০৩
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার রাস্তায় উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার রাস্তায় উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব। ছবি: রয়টার্স।

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি জারি করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক তথা জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে বিক্ষোভ। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, হাদির হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশকে সংযত হতে হবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সে দেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। আপাতত ভোটের কথা মাথায় রেখেই সংযম দরকার বলে মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস শুক্রবার রাতে হাদি হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত’ করতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তদন্তপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করেন গুতেরেস। তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিউ ইয়র্কের সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন। হাদির মৃত্যু পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ নজর রেখেছে। গুতেরেসের বার্তা, ‘‘নির্বাচনের উপযোগী শান্তিপূর্ণ পরি‌বেশ বজায় রাখার জন্য সমস্ত পক্ষকে হিংসা থেকে বিরত থাকতে হবে, উত্তেজনা কমাতে হবে এবং সংযত হতে হবে।’’

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার ভলকার টার্কও জেনেভা থেকে বাংলাদেশ নিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, হাদির মৃত্যুসংবাদে তিনি ‘অত্যন্ত বিব্রত’। কিন্তু প্রতিশোধ কেবল বিভেদকেই স্পষ্ট করে। তাতে সব পক্ষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়। তাই এই কঠিন সময়ে সংযম প্রদর্শন প্রয়োজন।

গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হাদি। সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। টানা ছ’দিন লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আসে। এর পরেই বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। ‘সংগঠিত জনরোষে’ তছনছ হয়ে যায় একাধিক সরকারি ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং দেশের প্রথম সারির দুই সংবাদপত্র প্রথম আলো ও ডেলি স্টার-এর দফতর। খুলনায় এক সাংবাদিককে হত্যা এবং ময়মনসিংহে এক যুবককে মারধরের পর পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। হিংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এ বার মুখ খুলল রাষ্ট্রপুঞ্জও।

Bangladesh Bangladesh Situation Osman Hadi United Nations
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy