পশ্চিম এশিয়ায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠল আমেরিকার সেনাবাহিনী। শুক্রবার রাতে তারা সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে। নিশানায় ছিল আইএস জঙ্গিদের ঘাঁটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এটি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এবং এতে সিরিয়া সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
গত সপ্তাহে সিরিয়ায় বেশ কয়েক জন আমেরিকানকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁদের দেহ মার্কিন মুলুকে পৌঁছোনোর পরেই প্রতিশোধের কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, সিরিয়ায় উপস্থিত সকল খুনি জঙ্গিদের তিনি শায়েস্তা করবেন। শুক্রবারের হামলা সেই প্রতিশোধেরই অঙ্গ। আইসিস ঘাঁটিগুলি চিহ্নিত করে আকাশপথে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, তাঁদের অভিযান সফল। বহু ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। মার্কিন হামলায় অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পশ্চিম এশিয়ায় তবে কি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সক্রিয় সংঘর্ষে নেমে পড়ল আমেরিকা? ফের কি যুদ্ধ শুরু হতে পারে? সিরিয়ায় হামলার মাধ্যমে কি সেই বার্তাই দিয়ে রাখা হল? মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ অবশ্য সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সিরিয়ায় আইএস জঙ্গি, তাদের পরিকাঠামো, অস্ত্রের ঘাঁটি ইত্যাদিকে নিশানা করা হয়েছিল। এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন হকআই স্ট্রাইক’। তবে এটা কোনও যুদ্ধের সূচনা নয়। এটা প্রতিশোধ। আমরা আমাদের শত্রুদের নিশানা করে মেরেছি। আগামী দিনেও মারব।’’
ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘সিরিয়ায় আইএসের শক্ত ঘাঁটিগুলিতে আমরা প্রবল ভাবে হামলা চালাচ্ছি। সিরিয়া রক্তস্নাত, তাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আইএসকে যদি মুছে ফেলা যায়, এই দেশের ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল। সিরিয়ার সরকারের মাথায় আছেন এমন এক জন মানুষ, যিনি দেশের গৌরব পুনরুদ্ধারের সবরকম চেষ্টা করছেন। তিনি মার্কিন হামলাকে সমর্থন করেছেন।’’ সিরিয়া-সহ বিশ্বের সকল প্রান্তের জঙ্গিদের উদ্দেশে এর পর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ‘‘আমেরিকার নাগরিকের উপর হামলা চালালে, আমেরিকার কোন ক্ষতি করলে তোমাদের এমন পরিণতি করা হবে, যা আগে কখনও হয়নি।’’
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার হামলায় এফ-১৫ এবং এ-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল মার্কিন বাহিনী। মধ্য সিরিয়ার অন্তত ৭০টি জায়গা চিহ্নিত করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। সিরিয়া সরকার জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই জারি রয়েছে। সিরিয়াকে জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হতে দেওয়া হবে না। এই মুহূর্তে সিরিয়ায় ১০০০ মার্কিন সেনা রয়েছেন।