আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক ভূমিকা নিয়ে আলোচনার দাবিকে পাখির চোখ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এর আগে সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। তখনই বিরোধীরা হট্টগোল শুরু করেন। সংশোধিত খসড়া তালিকা এবং গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে সংসদে বিশেষ আলোচনার দাবি জানিয়ে প্রায় সব বড় বিরোধী দল চিঠি দিয়েছিল লোকসভার স্পিকারকে।
আজ তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “আমরা জানি রাষ্ট্রের তিনটি বাহু— বিচার বিভাগ, আইনসভা এবং প্রশাসনিক বিভাগ। নির্বাচন কমিশন প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্গত, তাদের কিছুটা আদালতের সমান ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আমাদের বার বার শুনতে হচ্ছে, কমিশনকে নিয়ে সংসদে আলোচনা করা যাবে না। এটা ভুল। সংসদের অধিকার রয়েছে কমিশনকে নিয়ে আলোচনা করার।” তাঁর কথায়, “গত দু’টি অধিবেশনে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-এর মতো বেশ কয়েকটি দল একশোরও বেশি নোটিস জমা দিয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আলোচনা চেয়ে। কিন্তু, ‘সাধারণের নির্বাচনের ৭৪ বছর: ভারতের সর্বংসহ গণতান্ত্রিক শক্তির উদ্যাপন’— এই মর্মেও মোদী সরকার আলোচনা করতে দিতে রাজি নয় কেন?”
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিষয়টি এড়িতেই এ বারের অধিবেশন সংক্ষেপে সারছে মোদী সরকার। মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে অপসারণের প্রস্তাব সংসদে আনা নিয়ে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের দলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে তারা। তবে তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, তারা এখনও এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করেনি। করার আশু পরিকল্পনাও নেই। সংসদ চলাকালীন এসআইআর নিয়ে রামলীলা ময়দানে একটি জনসভা করার পরিকল্পনাও করছে কংগ্রেস। এ ব্যাপারেও কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, কোনও আগ্রহ প্রকাশ করেনি দল। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, এসআইআর-এর মতো বিষয় নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল স্তরে, মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করা হবে, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। এ ক্ষেত্রে দিল্লিতে অন্য বিরোধী দলের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস তৃণমূলের বিরোধী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)