পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কোনও কোনও মন্ত্রীকে ‘ভুয়ো মামলায়’ গ্রেফতার বা নাকাল করতে পারে কেন্দ্র। তৃণমূল সূত্রে জানানো হচ্ছে, এই আশঙ্কা দলের অন্দরমহলে। সে কারণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই আজ সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনী নিয়ে কেন্দ্রের বিলটিকে নিশানায় এসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই বিলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রী গুরুতর অভিযোগে টানা তিরিশ দিন ধরে হেফাজতে থাকলে এবং যদি তাঁর সেই মামলায় পাঁচ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে ৩১ দিনের মাথায় সেই অভিযুক্তকে পদ থেকে সরে যেতে হবে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, “গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা তো দূরস্থান, নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল।” তিনি বলেন, "তিরিশ দিনে কী ভাবে একজন তাঁর পদটি খোয়াবেন দেখুন। প্রথম ধাপ, আদালত, ভোটার সব ভুলে যান, তারা আর আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবেন না। দুই, অপেক্ষা করুন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এফআইআর-এর। তিন, কারাবন্দি হওয়ার পর প্রক্রিয়াগত বিলম্বের কারণে তিরিশ দিন পার হয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।"
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীকে এ ভাবে সরানোর কোনও ব্যবস্থা সংবিধানে ছিল না। তাই সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনীর মাধ্যমে এই আইনটি বলবৎ করতে চায় কেন্দ্র। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, সাংবিধানিক ব্যবস্থা না থাকায় সুযোগ নিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কিংবা তামিলনাড়ুর মন্ত্রী ভি এস বালাজি। বিজেপির প্রচার, রাজনৈতিকব্যবস্থাকে শুদ্ধিকরণের লক্ষ্যেই ওই বিলটিআনা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)