গুজরাতের কুয়ো থেকে চলছে শিশু উদ্ধারের কাজ। ছবি: পিটিআই।
৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল দেড় বছরের শিশুকন্যা। টানা ১৭ ঘণ্টা তাকে সেখান থেকে তুলে আনার জন্য লড়াই চলে। কিন্তু লাভ হল না। শেষ পর্যন্ত হার মানতে হল উদ্ধারকারীদের। শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুজরাতের অমরেলীর সুরগাপুরা গ্রামের বাসিন্দা ছোট্ট আরোহী। গ্রামের মাঠে খেলা করছিল সে। শুক্রবার খেলতে খেলতে আচমকা পাশের একটি কুয়োতে পড়ে যায় ওই শিশু। কুয়োটি ৪৫ থেকে ৫০ ফুট গভীর বলে দাবি স্থানীয়দের।
শিশুর পরিবার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয় এবং সাহায্য চায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন উদ্ধারকারীরা। অমরেলীর দমকল বিভাগ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। কুয়োর ভিতরে যাতে শিশুটির শ্বাস নিতে সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল তার কাছে।
বেশ কয়েক ঘণ্টা শিশুটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়েছিল। তাকে কুয়ো থেকে তুলে আনতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু এক সময়ে শিশুটির কাছ থেকে সাড়া পাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ১৭ ঘণ্টা পরে ওই শিশুকে কুয়ো থেকে তুলে আনা হয়। কিন্তু সে সময়ে শিশুটি অচৈতন্য অবস্থায় ছিল। পরে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরেও তাকে বাঁচাতে না পারায় এলাকার বাসিন্দারাও শোকস্তব্ধ। সেই সঙ্গে কেন মাঠের মধ্যে বিপজ্জনক ভাবে খোলা অবস্থায় কুয়ো রয়েছে, তোলা হয়েছে সেই প্রশ্নও। এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy