তিনি ‘বাবা’, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানও বটে। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের আশ্রমে তাঁর ঘর থেকে মিলল ‘সেক্স টয়’ এবং পাঁচটি দুষ্টু পর্নোগ্রাফিক সিডি। সেই সঙ্গে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বানানো ছবিও উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, নিজে কতটা প্রভাবশালী, তা প্রমাণ করতে ওই ছবিগুলো প্রদর্শন করতেন শ্লীলতাহানির দায়ে ধৃত স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী ওরফে পার্থসারথি।
দিল্লির একটি ম্যানেজমেন্ট কলেজের ডিরেক্টর ছিলেন ওড়িশার বাসিন্দা পার্থসারথি। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ১৭ জন ছাত্রী শ্লীলতাহানি এবং ভয় দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ করেছেন। পলাতক ‘বাবা’কে শেষমেশ আগরার একটি হোটেল থেকে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। তার আগে বিভিন্ন ছাত্রীকে পাঠানো হোয়াট্সঅ্যাপ মেসেজ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেখানে দেখা যায়, কোনও ছাত্রীকে বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন চৈতন্যানন্দ। কাউকে ‘ঘনিষ্ঠ কথাবার্তা’ বলতে আকুতি জানাচ্ছেন। এক ছাত্রীকে আবার লিখেছেন, রাতে তাঁর বড্ড একা লাগছে। ছাত্রীটি যেন মেসেজ পাওয়ামাত্র আশ্রমে তাঁর ঘরে চলে যান। অভিযোগকারিণীদের দাবি, ‘বাবা’র দেখভালের জন্য থাকা তিন মহিলাকর্মী তাঁদের জোর করতেন ‘গুরুজি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য।
ওই তিন মহিলাকর্মীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। এখন পুলিশি হেফাজতে থাকা ‘বাবা’র নানা কাণ্ড সামনে আসছে তদন্তকারীদের সৌজন্যে। বসন্তকুঞ্জে ‘বাবা’ আশ্রমের যে ঘরটিতে থাকতেন, সেখান থেকে অশ্লীল ছায়াছবির সিডি, পত্রিকা ইত্যাদি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মিলেছে ‘সেক্স টয়।’
আরও পড়ুন:
দিল্লির ওই ‘বাবা’ মহিলা পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ উঠছে। তিনি এক ছাত্রীকে জানিয়েছিলেন, দুবাইয়ের এক শেখ তাঁকে যৌনসঙ্গী করতে চান। এ-ও জানতে চান, তরুণীর কোনও ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আছেন কি না। আর একটি চ্যাটে ‘বাবা’ আরও কদর্য ইঙ্গিত করেন আর এক ছাত্রীকে। লেখেন, ‘‘আমার শয্যাসঙ্গী হবে?’’ ছাত্রীদের তিনি ‘বেবি’, ‘মাই ডল’ ইত্যাদি বলে সম্বোধন করতেন। ১৭ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ধৃত ‘বাবা’কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টায় পুলিশ।