দুর্ঘটনার ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ফের রেল দুর্ঘটনা। এ বার বিহারের হাজিপুরের কাছে। রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ দিল্লিগামী সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ছয় জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে রেল সূত্রে খবর। আহত শতাধিক।
দুর্ঘটনার জেরে তিনটি বগি একেবারেই বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বরাউনি শোনপুর থেকে রিলিফ ট্রেন ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে হাজিপুরের দিকে। রেল মন্ত্রকের সূত্রে শোনপুর, হাজিপুর ও বরাউনিতে তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল ০৬১৫৮২২১৬৪৫, ০৬২২৪২৭২২৩০, ০৬২৭৯২৩২২২২ ।
ওই ট্রেনেরই এক যাত্রী জানান, যোগবাণী-আনন্দবিহার টার্মিনাল সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভোর ৪টে নাগাদ মারাত্মক শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। সেই সময়ই শাহাদাই বুজুর্গের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ শুরু হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলায় পরিবর্তন নিশ্চিত, সভা থেকেই বড় চ্যালেঞ্জ মোদীর, নস্যাৎ মমতার
রেল সূত্রে খবর, যোগবাণী-আনন্দবিহার টার্মিনাল সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভোর ৩.৫৮ মিনিট নাগাদ মারাত্মক একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। সেই সময়ই শাহাদাই বুজুর্গের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
শোনপুর ডিভিশন সূত্রে খবর, ৩.৫২ মিনিট নাগাদ মেহনার রোড দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল। তার কিছুক্ষণ পরই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে প্রশ্ন করতে চায় সিবিআই
শোনপুর ও বরাউনি থেকে চিকিৎসকের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। রেল মন্ত্রী পীযূষ গয়াল টুইটে এই দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ত্রাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও টুইট করেছেন তিনি।
Rescue and relief operations are on for derailment of 9 coaches of Jogbani-Anand Vihar Terminal Seemanchal express at Sahadai Buzurg, Bihar.
— Piyush Goyal Office (@PiyushGoyalOffc) February 3, 2019
Help lines:
Sonpur 06158221645
Hajipur 06224272230
Barauni 06279232222
এস ৮, এস ৯, এস ১০ এই তিনটি বগি, একটি জেনারেল বগি, একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি (বি৩) লাইনচ্যুত বগিগুলির মধ্যে রয়েছে, জানিয়েছেন পূর্ব-মধ্য রেলওয়ের মুখপাত্র রাজেশ কুমার।
দিল্লি-বিহার রুটের ট্রেনগুলি অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করে বলে অভিযোগ বহু দিনের। এই ট্রেনে অসংখ্য যাত্রীদেরই রিজার্ভেশনও থাকে না। শুধুমাত্র জেনারেল টিকিট কেটেই অসংখ্য ব্যক্তি ট্রেনে যাতায়াত করেন। এর ফলে আহত কিংবা মৃত যাত্রীদের পরিচয় খুঁজে পেতেও সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy