Advertisement
E-Paper

চণ্ডীগড়ের দুই কাউন্সিলরের আপে প্রত্যাবর্তন, বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মেয়র নির্বাচনের আগে

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আচমকাই আপ ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছিলেন পুনম দেবী, নেহা মুসাওয়াত এবং গুরুচরণ কালা নামে তিন কাউন্সিলর। তার জেরেই চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে চাপে পড়ে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ১০:৫৩
Two AAP Councillors return to their old party

চণ্ডীগড়ের দুই কাউন্সিলর আপে ফিরলেন। ছবি সংগৃহীত।

চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কম নাটক হয়নি। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মেয়র নির্বাচনে ‘ভোট কারচুপি’র অভিযোগ তুলেছিল আপ-কংগ্রেস। মেয়র নির্বাচনে প্রথমে ‘হেরে গিয়েও’ পরে জয়ী হন আপ প্রার্থী কুলদীপ সিংহ। হারের নেপথ্যে যেমন ছিল ‘ভোট কারচুপি’র অভিযোগ, তেমনই আপের তিন কাউন্সিলরের বিজেপিতে যোগ দেওয়াও ছিল ‘বড়’ ফ্যাক্টর! মাস ঘুরতে না ঘুরতেই সেই তিন কাউন্সিলের মধ্যে দু’জন বিজেপি ছেড়ে আবার আপে ফিরে এলেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আচমকাই আপ ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন পুনম দেবী, নেহা মুসাওয়াত এবং গুরুচরণ কালা নামে তিন কাউন্সিলর। তার জেরেই চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে চাপে পড়ে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। কিন্তু এ বার তাঁদের মধ্যেই পুনম এবং নেহার ‘ঘরওয়াপসি’ হল আপে।

৩৫ সদস্যের চণ্ডীগড় পুরনিগমে বিজেপির ১৪ জন কাউন্সিলর ছিলেন। তবে আপের তিন সদস্য যোগ দেওয়ার পর সংখ্যাটি বেড়ে হয় ১৭। শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র কাউন্সিলর বিজেপিকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি, পুরনিগমের প্রাক্তন সদস্য হিসাবে ভোটাধিকার ছিল চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ কিরণ খেরের। সব মিলিয়ে বিজেপির পক্ষে ছিল ১৯টি ভোট, যা চণ্ডীগড় পুরনিগমে ‘জাদুসংখ্যা’ ছোঁয়ার জন্য পর্যাপ্ত। অন্য দিকে, পুরনিগমে আপের কাউন্সিলর সংখ্যা ১০, কংগ্রেসের ৭। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস, আপকে সমর্থন করলেও ‘জাদুসংখ্যা’য় পৌঁছতে পারেনি তারা।

গত ৩০ জানুয়ারি মেয়র নির্বাচন ছিল চণ্ডীগড়ে। পুরপ্রতিনিধিদের ভোটের হিসাবে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিলেন আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কুলদীপ। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোট পায় ২০টি। অন্য দিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে জোটপ্রার্থী কুলদীপের পাওয়া আটটি ভোট বাতিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহা।

ভোট বাতিল হওয়ায় আসরে নামে আপ এবং কংগ্রেস। ভোটের সময়কার ভিডিয়ো প্রকাশ করে আপের তরফে দাবি করা হয়, ব্যালট পেপারে কাটাকুটি করে গণনায় কারচুপি করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল। সেই ‘কারচুপি’র অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়। সেই মামলায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন ভাবে ভোটগণনা হয়। সুপ্রিম কোর্ট কুলদীপকেই ‘বৈধ বিজয়ী’ বলে ঘোষণা করেছে। যে আটটি ভোট বাতিলের জন্য বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকরের কাছে কুলদীপকে হারতে হয়েছিল, সেই আটটি ভোটকে ‘বৈধ’ বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

মেয়র পদে কুলদীপ ফিরলেও পুরনিগমের সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদে জয়ী হয়েছে বিজেপি। সিনিয়র ডেপুটি মেয়র পদে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জয় পান বিজেপির কুলজিৎ সিংহ সান্ধু। ডেপুটি মেয়র পদে পুনর্নিবাচিত হয়েছেন বিজেপিরই রাজিন্দর শর্মা। তবে দুই কাউন্সিলরের আপে ফেরায় পুরনিগমে নতুন করে সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Chandigarh Mayor Election AAP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy