Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৩

হায়দরাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় দোষী দুই

হামলার ১১ বছর বাদে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের সাত অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে দোষী সব্যাস্ত করল আদালত। মঙ্গলবার, এমডি আকবর ইসমাইল চৌধুরি ও অনীক সাফিক সৈয়দ নামে দুই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই সদস্যকে দোষী ঘোষণা করা হয়। সোমবার তাদের সাজা শোনানো হবে।

— ফাইল চিত্র।

— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০১
Share: Save:

হামলার ১১ বছর বাদে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের সাত অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে দোষী সব্যাস্ত করল আদালত। মঙ্গলবার, এমডি আকবর ইসমাইল চৌধুরি ও অনীক সাফিক সৈয়দ নামে দুই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই সদস্যকে দোষী ঘোষণা করা হয়। সোমবার তাদের সাজা শোনানো হবে। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন দুই অভিযুক্ত ফারুক সারফুদ্দিন তারকাশ ও এম ডি সাদিক ইসরার শাইক।

২০০৭-এর ২৫ অগস্টের ওই জোড়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৪২ জনের। আহত হন ৬৮ জন। প্রথম বিস্ফোরণটি হয়েছিল লুম্বিনি পার্কে। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোকুল চাট ভাণ্ডার নামে একটি জনপ্রিয় রেস্তরাঁয় ফাটে দ্বিতীয় বোমাটি। এই হামলায় প্রাথমিক ভাবে নাম জড়িয়েছিল সাত জনের। তাদের মধ্যে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য রিয়াজ ভাটকল, ইকবাল ভাটকল ও আমির রেজা খান পলাতক। বিচারপতি জানিয়েছেন, লুম্বিনি পার্কে বোমাটি পুঁতেছিল অনীক সাফিক। গোকুল চাট ভাণ্ডারে বিস্ফোরণে জড়িত ছিল রিয়াজ ভাটকল। তবে ইসমাইল চৌধুরি যে বোমাটি পুঁতেছিল, সেটি ফাটেনি।

১১ বছর আগের সেই বিস্ফোরণে চোখ হারিয়েছিলেন চান্দের নায়েক। এ দিনের রায়ে অখুশি চন্দের হাইকোর্টে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। ঘটনার সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। কোটি এলাকায় বই কিনতে গিয়ে আহত হন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাকরি নেই। সরকারের উচিত আমাকে সাহায্য করা। নিম্ন আদালতের যারা মুক্তি পেল তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে যাওয়ার আবেদন জানাই রাজ্যকে। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চাই।’’ একই দাবি বি আনজাইয়ার। সে দিনের বিস্ফোরণে চোদ্দ বছরের মেয়ে ও আরও দুই আত্মীয়কে হারিয়েছিলেন তিনি। সদাশিব রেড্ডি তখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। তাঁর আঘাত এতই গুরুতর ছিল যে বাক‌্শক্তি হারান। দোষীদের চরম শাস্তি চেয়েছেন তিনিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE